বিয়ে হয়েছে মাত্র আট মাস। এর মধ্যেই চলতে থাকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন। একাধিকবার দুই পরিবারের মধ্যে সালিশি বৈঠক হয়। কিন্তু স্ত্রী লিপা বেগমের উপর স্বামী জুয়েল মিয়ার নির্যাতন চলতেই থাকে। সর্বশেষ ৫০ হাজার টাকার জন্য নির্যাতন শুরু করলে গত ২৪ নভেম্বর লিপা বাবার বাসায় চলে যান।
স্বামী জুয়েল ৪ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে লিপার বাবা লাল মিয়ার বাসায় এসে স্ত্রীকে পুনরায় ৫০ হাজার টাকার কথা বলেন। লিপা টাকা দিতে পারবেন না বলে জানান। ঝগড়ার এক পর্যায়ে জুয়েল তার পকেট থেকে ধারালো ছুরি বের করে স্ত্রীকে জানে মেরে ফেলবেন বলে চিৎকার করতে করতে গলায় পোঁচ দেন। লিপা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে মারা গেছে ভেবে পালিয়ে যান জুয়েল।
বাকলিয়া থানার বগার বিল এলাকার শান্তিনগরে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বাকলিয়া থানা পুলিশ জুয়েল মিয়াকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় বলে জানিয়েছেন ওসি নেজাম উদ্দিন। জুয়েলের বাড়ি কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে। তিনি থাকেন বগারবিল শান্তিনগর এলাকায়। লিপা বাকলিয়া সৈয়দ শাহ রোডের লাল মিয়ার বড় মেয়ে।
ওসি নেজাম উদ্দিন জানান, লিপার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ৯৯৯-এ ফোন করে। বাকলিয়া থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে লিপাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি ২০ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন। তিনি জানান, লিপার শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় লিপার বাবা লাল মিয়া বাদী হয়ে বাকলিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ২০০০ (সংশোধনী-২০০৩) এর ১১(ক) ধারায় মামলা করেছেন। আমরা আজকে অর্থাৎ ঘটনাটি ঘটার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জুয়েলকে আটক করতে সক্ষম হই। তার কাছ থেকে এ ঘটনায় ব্যবহৃত ছুরিও উদ্ধার করি। এ মামলায় জুয়েলকে আদালতে চালান করা হয়েছে।