দেশে আরো একটি নদীবন্দর বাড়লো। নতুন নদীবন্দর হলো সন্দ্বীপ। এটি হচ্ছে দেশের একমাত্র উপকূলীয় নদীবন্দর। সন্দ্বীপ উপকূলীয় নদীবন্দরের সীমানা নির্ধারণ করে মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। সাধারণত কোনো এলাকায় নদীবন্দর করা হলে জনসাধারণের পাশাপাশি নৌপথ সংরক্ষণেও সেটি কাজ করে। কারণ, বন্দর চালু রাখতে নিয়মিত বিরতিতে বা প্রয়োজন অনুযায়ী নদী খনন বা পুনঃখনন করতে হয়। যাতে নদীর নাব্যতা ঠিক থাকে ও নৌযান চলাচল করতে পারে। পাশাপাশি নদীবন্দর ঘিরে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং বিআইডব্লিউটিএর রাজস্ব বাড়ানোর সুযোগ তৈরি হয়। ফলে নদীবন্দর ঘোষণা করা হলে নৌপথ সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ সহজ হয়। যেহেতু নৌ–পথ ছাড়া সন্দ্বীপবাসীর যাতায়াতের বিকল্প কোনো মাধ্যম নেই। ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের নৌকা আর স্প্রিড বোঁ তাদের একমাত্র ভরসা। এভাবেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত বঙ্গোপসাগরের সন্দ্বীপ চ্যানেল পাড়ি দেয় এখানকার বাসিন্দারা। যাতায়াতের এই সীমাহীন দুর্ভোগ সন্দ্বীপবাসীকে কাঁদায় প্রতিনিয়ত। বিনা চিকিৎসায় স্বজনের মৃত্যুর শোকও বয়ে বেড়াচ্ছে অনেক পরিবার। এতদিন সন্দ্বীপ ঘাট নিয়ে একচেটিয়া ব্যবসা করছে ইজারাদার। সন্দ্বীপ ঘাটকে একচেটিয়া ব্যবসার জিম্মি দশা থেকে মুক্ত করতে হবে। পৃথিবীর সর্বত্রই মনোপলি বা একচেটিয়া ব্যবসা অনিবার্য হলে সরকারি কর্তৃপক্ষ মূল্য ও সেবার মান নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণ করে সন্দ্বীপে তাও করা হয়নি এখনো।
কার স্বার্থে করা হয়নি কে জানে? নদী বন্দর ঘোষণা হওয়ার পর এখন যেহেতু ঘাট টি বিআইডব্লিউটিএ অধীনে যাবে আশা করি নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বিআইডব্লিউটিএ, সন্দ্বীপ চ্যানেলের নাব্যতা ও গ্রোত বিবেচনায় রেখে গুপ্তছড়া ঘাট ও কুমিরা ঘাটের উত্তরে ২/১ মাইলের মধ্যে ফেরি চালাচলের উপযোগী ঘাট নির্ধারণ করতে পারবে। বাঁশবাড়িয়া ও বাউরিয়া ফেরিঘাট হতে পারে পরীক্ষামূলক ফেরিঘাট। ফলে দিন–রাত গাড়ি ও মালামালসহ রোগী ও অসুস্থদের জীবন মরণ সন্ধিক্ষণে বেদনার বালুচর থেকে দ্বীপবাসী স্বস্তি পাবে।