সন্দ্বীপ নৌ-রুটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের প্রতিবাদে তরুণ-যুব সমাজের মোটরসাইকেল র্যালিতে পুলিশে বাধার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার বিকাল তিনটায় উপজেলা প্রশাসন মাঠ থেকে আয়োজিত র্যালি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দুপুর থেকে কয়েক প্লাটুন পুলিশ ওই মাঠ ঘিরে অবস্থান নেয়। এ সময় র্যালিতে অংশগ্রহণ করতে আসা শতাধিক তরুণ-যুবকদের মোটরসাইকেল আটক করা হয়। র্যালিতে বাধা দেওয়ায় আয়োজকরা সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বশির আহমেদ খানের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে তাদের একটি লিখিত অভিযোগপত্র উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট খীসার কাছে ও সন্দ্বীপ থানায় পেশ করেন। ঘাটের অনিয়ম ও বর্ধিত ভাড়া নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলে আসা আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসাবে এই র্যালির ডাক দিয়েছিল সন্দ্বীপের তরুণ-যুব সমাজ।
রহমতপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদুল মাওলা কিশোরের নেতৃত্বে প্রদত্ত এই লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, সরকারের সবগুলো সংস্থার অগোচরে সম্প্রতি ইজারাদার স্পিডবোটের ভাড়া বৃদ্ধি করেছে। কোনো ধরনের নিয়মনীতি না মেনে ইজারাদার তার ইচ্ছেমত ভাড়া আদায় করছে, যা এক প্রকার চাঁদাবাজি। আন্দোলনকারী তাদের লিখিত বক্তেব্যে মোট আটটি অভিযোগের বিষয় উল্লেখ করেছেন। অভিযোগগুলো হচ্ছে ঘাটে ভাড়ার তালিকা না থাকা, স্পিডবোটে ইচ্ছেমত মালের ভাড়া আদায়, অতিরিক্ত ভ্যান ভাড়া আদায়, যাত্রীদের থেকে ঘাট শ্রমিকদের মালামাল উঠানামায় অতিরিক্ত টাকা আদায়, চাক্তাই-গুপ্তছড়া রুটের তুলনায় স্বল্প দূরত্বের কুমিরা-গুপ্তছড়া রুটে ৫০ কেজি হারে মালামালে তুলনামূলক বেশি ভাড়া আদায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট খীসা সাংবাদিকদের বলেন, এই বিষয়ে শীঘ্রই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। র্যালি আয়োজনে বাধা প্রদান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শনিবার স্বাধীনতা দিবস পালনের জন্য প্রশাসন ব্যস্ত রয়েছে, যার কারণে এই র্যালির অনুমতি দেয়া হয়নি। তবে তাদের লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
অভিযোগপত্র প্রদানকালে চেয়ারম্যান ফরিদুল মাওলা কিশোর ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ খাদেমুল ইসলাম, হাসান আল নাহিয়ান, মাইনউদ্দিন আকাশ, মোহাম্মদ রুস্তম, সাইফুল মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।












