সন্দ্বীপ ও সীতাকুণ্ড থেকে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে সন্দ্বীপ থানা ও ডিবি পুলিশ। গতকাল সোমবার দুপুর ২টায় ডাকাতদের গ্রেপ্তার ও লুন্ঠনকৃত মালামাল উদ্ধার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি জানান সন্দ্বীপ থানার ওসি শহীদুল ইসলাম। জানা যায়, গত ৫ মার্চ ভোরে সন্দ্বীপের হারামিয়া ও মগধরা ইউনিয়নের দুই বসতবাড়িতে দুর্র্ধষ ডাকাতি ও হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় স্কুল শিক্ষিকা ও শিশুসহ ৫ জন গুরুতর আহত হন।
এঘটনায় সন্দ্বীপ থানায় একটি ডাকাতি মামলা করে ভুক্তভোগীরা। ঘটনার পরপরই সন্দ্বীপ থানা পুলিশ ও সীতাকুণ্ড সার্কেল গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত নেমে পড়ে। যার ফলে দ্রুত ৪ জন তালিকাভুক্ত ও সন্দেহভাজন ৪ জনকে আটক করে পুলিশ। পরবর্তীতে তাদের তথ্যমতে ঘটনায় সরাসরি জড়িত ৪ জনকে গ্রেপ্তার ও লুন্ঠনকৃত মালামাল উদ্ধার করতে সক্ষম হয় সন্দ্বীপ থানা ও ডিবি পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন– নুর ইসলাম (৩০), মো. করিম (৩৯), মো. মনির (২৮) ও মো. সেলিম (৩৬)। এছাড়া বাকীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান সন্দ্বীপ থানার ওসি শহীদুল ইসলাম।
এদিকে হামলা ও ডাকাতির শিকার স্কুল শিক্ষিকা মায়মুনা খানম নিপার ভাই রেজাউল করিম সাংবাদিকদের জানান, আমার আহত বোনের তথ্যানুযায়ী লুন্ঠনকৃত মালামাল পুরোপুরি উদ্ধার হয়নি এখনো। তিনি সন্দ্বীপ থানা ও ডিবি পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, কি কারণে আমাদের পরিবারের উপর এ হামলা তা বোধগম্য নয়। আমাদের সাথে কারো শত্রুতাও নেই। সন্দ্বীপ থানার ওসি শহীদুল ইসলাম বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া এতো বড় এলাকা ও সাড়ে চার লাখ সন্দ্বীপবাসীকে সীমিত সংখ্যক পুলিশ দিয়ে নিরাপত্তা দেয়া আমাদের জন্য কষ্টকর। তবুও আমরা আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করছি।