সন্দ্বীপে দুই বসতঘরে ডাকাতি

হামলায় শিশু ও নারীসহ আহত ৫

সন্দ্বীপ প্রতিনিধি | সোমবার , ৬ মার্চ, ২০২৩ at ৭:১৫ পূর্বাহ্ণ

সন্দ্বীপে দুইটি বসতঘরে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতদের হামলায় শিশু ও নারীসহ উভয় পরিবারের ৫ জন গুরুতর আহত হয়েছে। গত শনিবার দিবাগত রাত ৩ টায় ও রবিবার ভোর ৫ টায় উপজেলার হারামিয়া ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ও মগধরা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শনিবার দিবাগত রাত ৩ টায় সংঘবদ্ধ ডাকাতদল হারামিয়া ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সালাউদ্দিন রুমির একতলা ভবনের নিচে কলাপসিবল গেটের তালা ও দরজা ভেঙে টাইলস মিস্ত্রি সিরাজের বাসায় প্রবেশ করে তাদেরকে কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে একই ভবনের নিচে দিদারের দোকানের তালাও ভেঙে পেলে। কিন্তু লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়। সিরাজ মিস্ত্রিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম পাঠিয়ে দেয়া হয়।

এদিকে মগধরা ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডে ব্যবসায়ী মুস্তাফিজুর রহমান আজিমের ঘরে ঢুকেও ডাকাতি করে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল। এ সময় নগদ টাকা ও মূল্যবান গয়না বের করে দেওয়ার জন্য ডাকাতরা পরিবারের সদস্যদের মারধর করতে থাকে। ডাকাতরা সন্দ্বীপ পাবলিক হাই স্কুলের শিক্ষিকা মাইমুনা খানম

নিপা ও তার স্বামী গুপ্তছড়া বাজারের হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী মুস্তাফিজুর রহমান আজিমের বুকসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। একইসাথে তাদের নবম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়েকেও মারধর করে। এ সময় ডাকাতরা তাদের নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইলসহ দামী জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, এ ঘরের প্রতিটি রুমই তচনচ করে ফেলে ডাকাতরা। মেঝেতে রক্তের ফোটা ফোটা দাগও দেখা যায়। স্কুল শিক্ষিকা নিপার ভাই তুহিন জানান, আমার ভগ্নিপতি আজিমের অবস্থার অবনতি হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।

ডাকাতির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সন্দ্বীপ উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাঈন উদ্দীন মিশন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট খীসা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম এবং মগধরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম আনোয়ার হোসেন।

এ ঘটনায় সন্দ্বীপে আসেন সীতাকুণ্ড সার্কেলের এএসপি এবিএম নায়হানুল বারী। তিনি সরেজমিনে উভয় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ও আশপাশের বাসিন্দাদের সাথে কথা বলেন। তিনি দৈনিক আজাদীকে জানান, এর আগে দোকান চুরির ঘটনা ঘটলেও বাড়িঘরে এ ধরনের হামলাসহ ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি। তেমন

মালামাল না নিলেও ডাকাতরা কিছুটা জখম করে এক পরিবারের পুরুষ সদস্যকে। এ ঘটনায় এখনো কোন মামলা দায়ের হয়নি বলে জানা যায় থানা সূত্রে। তবে কয়েকজন সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়। তারা এ ঘটনায় জড়িত কিনা তা এখনো জানা যায়নি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসায়েন্স ল্যাবে ভবন বিস্ফোরণে দগ্ধ ৫ ঢাবি ছাত্র আহত
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে আজ মান বাঁচানোর লড়াই টাইগারদের