সন্দ্বীপের তিনটি পুকুরে গতকাল দুপুরে ‘টিনের খনি’ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ আলোচনা হয়। তবে পুকুরে পাওয়া এ টিনগুলো মগধরা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব–দক্ষিণ উপকূলের চরে আটকে যাওয়া পণ্যবাহী ট্রলার থেকে লুণ্ঠিত মালামাল। প্রায় ১শ ৬৫ বান্ডিল টিন চুরি যায় বলে জানান ট্রলারের মালিক। চোরাই মালামালের মধ্যে টিন ও নোঙর ৮ নং ওয়ার্ডের তিনটি বাড়ির পুকুর ও আঙিনা থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মগধরা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আবুল বশর (৩০) প্রকাশ ডেকারেশন বশর ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পিন্টুকে (২৮) আটক করা হয়েছে বলে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সায়েদ আহমেদ। তাদেরকে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন জানালে আদালত রিমান্ড না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এছাড়া চোরাই মালামালের মধ্যে কিছু মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। পুরো মাল উদ্ধার ও জড়িতদের আটকের জন্য অভিযান চলছে বলে জানান মামলার আইও।
গত ৩ অক্টোবর চট্টগ্রামের চাক্তাই খাল থেকে এমবি রাজমহল নামে একটি মালবাহী ট্রলার নোয়াখালীর হাতিয়ার উদ্দেশ্যে ছাড়ে। সন্দ্বীপের পশ্চিম পাশে অবস্থিত ভাসানচরের দক্ষিণ পাশ দিয়ে হাতিয়ার দিকে যাওয়ার সময় ট্রলারটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায় বলে জানান ট্রলারের মালিক মো. কামরান। ট্রলারটি ভাসতে ভাসতে সেদিন সন্ধ্যায় মগধরা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব–দক্ষিণ উপকূলের চরে এসে আটকে যায়। সেই সময় বৈরী আবহাওয়ার কারণে ট্রলারের তলার কাঠ ফেটে পানি প্রবেশ করলে ট্রলারে থাকা সারেং ও খালাসিরা বেড়িবাঁধের ভিতরে চলে আসেন।
পরদিন বিকালে তাদের ট্রলারের কাছে অন্য একটি ট্রলার দেখতে পেয়ে বেড়িবাঁধ থেকে ট্রলারের কাছে গেলে দেখতে পান একদল লোক তাদের দুর্ঘটনা কবলিত বোট থেকে মালামাল নিয়ে যাচ্ছে। এ সময় নতুন টিন, নোঙর, টাইলস, ট্রলারটির পাখা–সেফ, বড় দুইটা ব্যাটারিসহ প্রায় ৬ থেকে ৭ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায় বলে জানান ট্রলারের মালিক মো. কামরান। এছাড়া ট্রলারে থাকা প্রায় ১ হাজার বস্তা ইউরিয়া সার ও ২৫০ বস্তা সিমেন্ট পানি লেগে নষ্ট হয়ে যায়।
চোরাই মালামাল পুকুরে পাওয়ার ঘটনাকে সন্দ্বীপের জন্য দুঃখজনক উল্লেখ করে মগধরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রশাসনের কাছে অনুরোধ থাকবে, এ ঘটনায় জড়িতদের আটক করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির যেন ব্যবস্থা করা হয়।