সন্দেহ থেকেই সব

খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার জলিলের জবানবন্দি

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ১৯ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৫:৫১ পূর্বাহ্ণ

সাবেক স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকার সন্দেহে আরো দুজনকে সাথে নিয়ে আবু তাহের (৪৮) নামে এক ব্যক্তিকে মারধর করেন আব্দুল জলিল। গুরুতর আহত তাহের পরে মারা যান। বৃহস্পতিবার নগরীর পতেঙ্গা থানাধীন স্টিল মিল নুর নবীর গলিতে মারধরের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দিবাগত রাতে আহত আবু তাহেরের মৃত্যু হয়। তাহেরের গ্রামের বাড়ি রাঙামাটির কাউখালী এলাকায়। তিনি নগরীর একটি পোশাক কারখানার সিকিউরিটি সুপারভাইজার ছিলেন। তাহেরকে হত্যার অভিযোগে পুলিশ আব্দুল জলিলকে গ্রেপ্তার করেছে। জলিল পেশায় মুড়ি ও চানাচুর বিক্রেতা বলে জানিয়েছে পুলিশ। গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায় হলেও থাকেন নোয়াখালীতে। আর তার সাবেক স্ত্রী রওশন আরা সন্তানদের নিয়ে পতেঙ্গায় আবু তাহেরের বাসার একই কলোনিতে থাকেন।
পুলিশ বলছে, জলিল তার সাবেক স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকার সন্দেহে তাহেরকে পিটিয়ে হত্যা করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্টিল মিল এলাকায় বৃহস্পতিবার জলিল তার স্ত্রীর মামাত ভাই ও মামাত বোনের স্বামীকে নিয়ে তাহেরকে বাসা থেকে ডেকে বাইরে এনে মারধর করেন। তাহেরকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করালে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তাহেরের মেয়ে রাজিয়া সুলতানা পতেঙ্গা থানায় মামলা করেন। অভিযোগ পেয়ে শুক্রবার নোয়াখলীর কিল্লারহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে জলিলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করে পতেঙ্গা থানার ওসি কবির হোসেন জানান, জলিলের সঙ্গে তার স্ত্রী রওশন আরার তালাক হয়ে যায়। স্ত্রী ১২ বছর বয়সী সন্তানকে নিয়ে স্টিল মিল এলাকায় থাকেন। আর জলিল নোয়াখালীতে থাকেন। রওশন আরার পাশের বাসায় তাহের থাকতেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে রওশন আরাকে সহযোগিতা করতেন, যা নিয়ে জলিলের সন্দেহ ছিল।
তালাক হয়ে যাওয়ার পরও জলিল পুনরায় রওশন আরার সঙ্গে সংসার করতে চাইছিলেন। ৯ ডিসেম্বর জলিল চট্টগ্রামে এসে রওশন আরার মামির বাসায় উঠেন। ১৪ ডিসেম্বর রওশন আরার বাসায় গিয়েছিলেন। পরদিন সকালে জলিল বাসা থেকে বের হওয়ার পর রওশন তার ১২ বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে বাসা ছেড়ে চলে যান। জলিল বাসায় এসে স্ত্রী-সন্তানকে না দেখে ধারণা করেন, তার স্ত্রী-সন্তানকে তাহের লুকিয়ে রেখেছেন। ওই সন্দেহ থেকেই তার স্ত্রীর মামাত ভাই ও মামাত বোনের স্বামীকে নিয়ে তাহেরকে বাসা থেকে ডেকে বাইরে এনে মারধর করেন জলিল। গ্রেপ্তারের পর জলিল ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানান ওসি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধচাচার ঘুষিতে ভাতিজার মৃত্যু