চকরিয়া পৌরশহরের চিরিঙ্গার অলিগলিতে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে উপদ্রুব বেড়ে যায় উঠতি বয়সী একদল অপরাধীর। তারা প্রতিদিন কোনো না কোনো স্থানেই মানুষের সর্বস্ব লুট করা ছাড়াও ভুক্তভোগীদের পিটিয়ে আহতও করছিল। একইভাবে গত বুধবার রাতে দলবদ্ধভাবে কয়েকজন ঘোরাঘুরি করছিল পৌরশহরের চিরিঙ্গার গ্রামার স্কুলের সামনে। তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে স্থানীয়রা খবর দেন থানা পুলিশকে। এর পরই টহলে থাকা পুলিশের একটি দল স্থানীয়দের সহায়তায় ধাওয়া দিয়ে দুইজনকে ধরে ফেলে। সাথে একটি কাপড়ের ব্যাগও তাদের হেফাজত থেকে উদ্ধার করতে সমর্থ হয় পুলিশ। ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় দেশে তৈরি একটি একনলা বন্দুক, দুই রাউন্ড তাজা গুলি, একটি হাতুড়ি ও মুখোশ। পরবর্তীতে আরও একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক একই দলের আরও দুই সদস্যকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, সন্দেহজনক ঘোরাঘুরির সময় চকরিয়া গ্রামার স্কুলের সামনে থেকে স্থানীয় জনতার সহায়তায় আটক করা হয় দুইজনকে। তারা হলেন পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সিকদার পাড়ার মৃত জালাল আহমদের ছেলে মোহাম্মদ জিসান (৩০) ও সাহারবিল ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কোরালখালী গ্রামের কালু ফকিরের ছেলে মো. আবদুল্লাহ (৩৫)। এছাড়াও তাদের স্বীকারোক্তিতে বৃহস্পতিবার ভোররাতে আটক করা হয় বরইতলী এলাকা থেকে মনছুর আলম (৩৭) ও কোনাখালী ইউনিয়নের পুরিত্যাখালী গ্রামের মোহাম্মদ শাহজাহান (৪০) নামে আরো দুইজনকে। পরের দুইজনের বিরুদ্ধে আগে থেকে বিভিন্ন থানায় অস্ত্র ও ডাকাতির দায়ে পরোয়ানাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। নতুন করে চারজনের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও ডাকাতির প্রস্তুতির আইনে পৃথক মামলা রুজুর পর তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটের সুযোগ নিয়ে অপরাধীরা আইন–শৃক্সখলা পরিস্থিতির অবনতির চেষ্টা করছে। যারা বিভিন্ন স্থানে অপরাধ কর্মকাণ্ড সংঘটিত করার চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, আটক ৪ জনের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও ডাকাতির প্রস্তুতি আইনে পৃথক মামলা রুজুর পর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।












