সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশের একটি ধারা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ। গতকাল মঙ্গলবার সম্পাদক পরিষদের সভাপতি মাহফুজ আনাম ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানান। বিবৃতিতে তারা বলেন, ১২ মে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এর আগে ১১ মে ‘সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’–এর গেজেট প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রকাশিত গেজেটে দেখা যায় অধ্যাদেশে একটি ধারা যুক্ত হয়েছে। খবর বাংলানিউজের।
২০০৯ সালের ১৬ নম্বর আইনের ধারা ২০–এর (খ) উপধারা (১)-এর দফা (ঙ)-তে বলা হয়েছে, ‘উক্ত সত্তা কর্তৃক বা উহার পক্ষে বা সমর্থনে যে কোনো প্রেস বিবৃতির প্রকাশনা বা মুদ্রণ কিংবা গণমাধ্যম, অনলাইন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা অন্য যে কোনো মাধ্যমে যে কোনো ধরনের প্রচারণা, অথবা মিছিল, সভা–সমাবেশ বা সংবাদ সম্মেলন আয়োজন বা জনসম্মুখে বক্তৃতা দেওয়া নিষিদ্ধ করবে।’ তারা আরও বলেন, অধ্যাদেশটির নতুন ধারার প্রয়োগ দেশের মানুষের স্বাধীন মতপ্রকাশ ও গণমাধ্যমের অধিকারের ব্যাপকতাকে সীমিত করতে পারে। যা উদ্বেগজনক এবং সংবাদ প্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে শঙ্কা সৃষ্টি করবে।
অপব্যবহারের সুযোগ থাকে, অধ্যাদেশে এমন একটি ধারার সংযোজন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে কাম্য নয়। ধারাটি পর্যালোচনার প্রয়োজন রয়েছে। সম্পাদক পরিষদ ধারাটি স্থগিত এবং পুনর্বিবেচনার দাবি জানাচ্ছে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।