ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের চন্দনাইশ হাশিমপুর বাইন্যাপুকুর পাড় এলাকায় ৫ ঘণ্টার ব্যবধানে সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ও বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ও আহতরা হলেন, চন্দনাইশের হাশিমপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের পালপাড়া এলাকার বিপদ ভঞ্জন পালের ছেলে নিখিল পাল (৪৫) ও টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর ইউনিয়নের সবুজ শিকদারের ছেলে মো. ইকবাল হোসেন সিকদার (৩৩)। ইকবাল হোসেন এনজিও সংস্থা ‘ব্যুরো বাংলাদেশ’ এর চন্দনাইশ শাখার ব্যবস্থাপক ছিলেন বলে জানা যায়। এ ঘটনা আহত হয়েছে একই এনজিও’র কর্মী জাবেদ হোসেন (২৮)। তিনি টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতি উপজেলার সেহেরাইল এলাকার ময়না মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়ভাবে জানা যায়, নিখিল পাল একটি সনদ নিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে হাশিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে যান। সনদ নিয়ে বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে মহাসড়ক পার হওয়ার সময় কঙবাজারগামী দ্রুতগতির একটি হাইচ তাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। হাইচের ধাক্কায় রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে যান তিনি। পরে স্থানীয়রা নিখিল পালকে উদ্ধার করে দোহাজারী হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের ভাগিনা সেবক পাল সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে ৫ ঘণ্টার ব্যবধানে একই স্থানে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় নিহত হয়েছেন মোটরসাইকেল আরোহী মো. ইকবাল হোসেন সিকদার। এতে আহত হয়েছেন জাবেদ হোসেন এক এনজিও কর্মী। জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে চট্টগ্রামমুখী ঈগল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ও দোহাজারীমুখী একটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেলে থাকা দুই আরোহী গুরুতর আহত হয়। এ সময় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইকবাল হোসনেকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর আহত জাবেদ হোসেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও মোটরসাইকেলটি বর্তমানে দোহাজারী হাইওয়ে থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। দোহাজারী হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক মতিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।