নগরীর সদরঘাট এলাকায় একটি হোটেলে এক নারী ও এক যুবককে খুনের দায়ে অভিযুক্ত ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত।
এ ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল ২০১৪ সালে। বাংলানিউজ
এছাড়া ২০১ ধারায় অভিযুক্তদের আরও পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড এবং অনাদায়ে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) ৫ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জান্নাতুল ফেরদাউস চৌধুরীর আদালত এ রায় দেয়।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ছয়জন হলো বাহার উদ্দিন, বাচা মিয়া, খোরশেদ আলম, মো. মনির, মো. বেলাল ও গোলাম মওলা বাবুল। এ মামলায় চারজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
৫ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এসএম ফারুক বলেন, “২০১৪ সালে সদরঘাট এলাকায় একটি হোটেলে এক নারী ও এক যুবককে খুনের দায়ে অভিযুক্ত ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই রায়ে আদালত প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছে। এছাড়া ২০১ ধারায় অভিযুক্তদের আরও পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে এবং অনাদায়ে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছে। এ মামলায় চারজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।”
অ্যাডভোকেট এসএম ফারুক জানান, ২০১৪ সালের ৪ মে খুনের শিকার হাবিব পতিতা ব্যবসার জন্য মায়া নামে এক নারীকে বাহার উদ্দিনের মালিকানাধীন হোটেল আকাশে নিয়ে যান। সেখানে পরিকল্পিতভাবে হাবিব ও মায়াকে খুন করে আসামিরা। পরে তারা মরদেহ নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন সিআরবি ও জোরারগঞ্জ থানাধীন সোনাপাহাড় এলাকায় ফেলে আসে। এ ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের হয়।
তিনি জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র শীল ২০১৫ সালের আগস্টে আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২/২০১/৩৪ ধারায় আদালতে অভিযোগপত্র দেন। ২০১৬ সালের ৪ অক্টোবর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয়। আদালত এ মামলায় ৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে।