জীবনের প্রথম দৈনিক আজাদী পত্রিকার মাধ্যমে পত্রিকা পড়া শুরু আমার। তাই দৈনিক আজাদীর প্রতি ভালোবাসাও একটু বেশি। মানুষের জীবনে যেটা প্রথম সেটার প্রতি ভালোবাসা একটু বেশি থাকে। এটা যেন মানুষের স্বাভাবিক একটা স্বভাব। আমরা গ্রামে বসবাস করি। গ্রামে সেসময় পত্রিকা কজনই বা কিনত। বলছিলাম নব্বইয়ের দশকের কথা। আমাদের গ্রামে যে হাট রয়েছে রামদাস মুন্সির হাট নামে পরিচিত সেই হাটটা। সে হাটের কয়েকজন সৌখিন ব্যবসায়ী সেসময় পত্রিকা কিনত। তাও আবার দৈনিক আজাদী। তাঁদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কিছুক্ষণ বসে পত্রিকার পাতায় চোখ বুলিয়ে এবং চুম্বক অংশটুকু পড়ে চলে আসতাম। প্রতিদিন পত্রিকা পড়াটা যেন নেশায় পরিণত হয়ে গিয়েছিল। তখন পত্রিকা বলতেই চিনতাম শুধু দৈনিক আজাদী। গ্রামে গঞ্জে হাটে বাজারে দৈনিক আজাদীর যে ব্যাপক চাহিদা সেসময়ে ছিল বর্তমানে তা বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। এত পত্রিকার ভিড়েও কিন্তু দৈনিক আজাদী জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পেরেছে। কারণ হচ্ছে দৈনিক আজাদী দেশের যত পত্রিকা রয়েছে সব পত্রিকা থেকে ভিন্ন আঙ্গিকে প্রকাশিত হয়। নিত্য নতুন চিন্তা চেতনার প্রতিফলন দেখা যায় দৈনিক আজাদীতে। সেজন্য বলা হয় ‘দৈনিক আজাদী পথ দেখায় অন্যরা তা অনুসরণ করে।‘ সত্যিই যেন তাই।
নতুন নতুন লেখক সৃষ্টিতে দৈনিক আজাদী যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে তা সত্যিকার অর্থে প্রশংসার দাবি রাখে। দৈনিক আজাদী চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত হলেও অনলাইন ভার্সন থাকায় গোটা বিশ্বের পাঠক দৈনিক আজাদী পড়ার সুযোগ পাচ্ছে বর্তমানে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে অনলাইনে সার্চ দিলেই দৈনিক আজাদী পড়া যাচ্ছে। এগিয়ে যাক দৈনিক আজাদী পাঠকের ভালোবাসা ও বিশ্বাসে।