সত্য ও ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠাই শাহাদাতে কারবালার দর্শন

আন্তর্জাতিক কারবালা মাহফিলের ২য় দিনে তথ্যমন্ত্রী

| মঙ্গলবার , ২ আগস্ট, ২০২২ at ৭:০৪ পূর্বাহ্ণ

আন্তর্জাতিক শাহাদাতে কারবালা মাহফিলের দ্বিতীয় দিনে গতকাল সোমবার দেশি-বিদেশী আলোচক ও ইসলামী চিন্তাবিদরা বলেছেন, কারবালা ময়দানে নবী পরিবারের ওপর জঘন্য নৃশংসতা ও বর্বরতার কারণে ইয়াজিদ আজ ঘৃণ্য ও ধিকৃত। ইয়াজিদ গায়ের জোরে মসনদে বসে ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপকে বৈধতা দিয়েছিল। সুদ-ঘুষ দুর্নীতি ও ব্যভিচারকে স্বীকৃতি দিয়ে ইয়াজিদ ইসলামের ন্যায়নিষ্ঠ দর্শনকে ভূলুণ্ঠিত করেছিল। বক্তারা বলেন, অন্যায় অবিচার সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিরোধ করা এবং সত্য ও ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠাই হযরত ইমাম হোসাইনের (রা.) দর্শন ও শাহাদাতে কারবালার শিক্ষা।
আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুহাম্মদ মহসিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দিনের মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, আহলে বায়তে রাসূলের (দ.) বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় ইয়াজিদের ঠাঁই হয়েছে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে। কারবালা মানে অন্যায় ও অসত্যের কাছে মাথা নত না করা। মাহফিলের বিশেষ আকর্ষণ ছিল মিশর থেকে আগত বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম ক্বারী শায়খ আহমদ আহমদ নায়না। তিনি বাদে এশা সুললিত কণ্ঠে পবিত্র কুরআন মজিদ থেকে তেলাওয়াত করেন। এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আন্তর্জাতিক শাহাদাতে কারবালা মাহফিল পরিচালনা পর্ষদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও চেয়ারম্যান এবং পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। বিদেশি আলোচক ছিলেন ভারতের সৈয়দ মুহাম্মদ নুরানী আশরাফ আসরাফি আল জিলানি আস-সিমনানী।
আলহাজ্ব সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, কারবালার হৃদয়বিদারক ও মর্মন্তুদ ঘটনাবলীর নেপথ্য হাকিকত হচ্ছে অবাঞ্ছিত আপসকামিতাকে আশ্রয়-প্রশ্রয় না দেয়া। মাহফিলে হযরত আলী (র.) মর্যাদা নিয়ে আলোচনা করেন জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মুফতি কাযী মুহাম্মদ আবদুল ওয়াজেদ, হাসনাইনে করিমাইনের মর্যাদা নিয়ে আলোচনা করেন জামেয়ার প্রভাষক মাওলানা আবুল আসাদ মুহাম্মদ জুবাইর রিজভি ও জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের পেশ ইমাম হাফিজ মাওলানা মুফতি মুহাম্মদ জালাল উদ্দিন।
অতিথি ছিলেন শাহজাদা এ গাউসুল আজম সৈয়দ আহমদ হোসাইন ইরফানুল হক মাইজভান্ডারি, জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের খতিব আল্লামা সৈয়দ আবু তালেব মুহাম্মদ আলাউদ্দীন, মাওলানা শাহ মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন আলকাদেরী, আলী হোসেন সোহাগ, আমীর হোসেন সোহেল, পেয়ার মুহাম্মদ, শাহজাদ ইবনে দিদার, আল্লামা নূর মোহাম্মদ সিদ্দিকী, মুহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন চৌধুরী, কাউন্সিলর মুহাম্মদ হাসান মাহমুদ হাসনি, তাসকির আহমদ, মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপাউবোর নিলাম দরপত্র শিডিউল ক্রয়ের স্থান ও সময় বৃদ্ধি
পরবর্তী নিবন্ধ৭৮৬