বর্তমান সময়ের আলোচিত ও মর্মস্পর্শী ঘটনা হল সড়ক দুর্ঘটনা। দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঠিকই হচ্ছে কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘর থেকে রাস্তায় বের হলেই দেশের প্রত্যেকটি মানুষের মনে একটি আতঙ্ক তাড়া করে সেটা হল সড়ক দুর্ঘটনা। প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও ঘটছে এ সড়ক দুর্ঘটনা। এ সড়ক দুর্ঘটনা একটি পরিবারের চিরদিনের কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়, এ দুর্ঘটনা আকস্মিক কেড়ে নেয় একটি পরিবারের আশা, অন্ন–বস্ত্রের যোগান দাতাকে, কেউ আবার চিরদিনের জন্য পঙ্গুত্ববরণ করে যা কারো কাম্য নয়। সর্বোপরি সড়ক দুর্ঘটনা আমাদের সৃষ্ট স্বাভাবিক জীবনযাপনের ক্ষেত্রে একটি জাতীয় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের দেশের সড়ক দুর্ঘটনার জন্য কাউকে এককভাবে দায়ী করা যাবে না, এ দুর্ঘটনার জন্য পথচারী ও চালক উভয়ই দায়ী, অনেক সময় দেখা যায় চালক মুঠোফোনে কথা বলে গাড়ি চালায়। সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হল ট্রাফিক আইন না মেনে গাড়ি চালানো। জরিপে দেখা গেছে, ৯০ শতাংশ চালক জেব্রাক্রসিংয়ে অবস্থানরত পথচারীদের অধিকার আমলে নেয় না, পাশাপাশি প্রায় ৮৫ ভাগ পথচারী ট্রাফিক আইন না মেনে রাস্তা পার হয়। অপরদিকে লাইসেন্সবিহীন চালকদের বেপরোয়া গতিতে চালানো, ওভারটেকিং, রাস্তায় প্রতিযোগিতামূলক গাড়ি চালানো,রাস্তার মাঝপথে গাড়ি চালানো, রাস্তার পাশে অযথা গাড়ি পার্কিং, রাস্তার পাশে হাট বা দোকান বসানো, হাইওয়ে রাস্তা পার্শ্বভাগ মূল রাস্তার সাথে সমান না হওয়া, ইত্যাদি কারণে সচরাচর সড়ক দুর্ঘটনা হয়ে থাকে। এ দুর্ঘটনার ফলে আকস্মিক মৃত্যুগুলো আমাদের মন ভারী করে দেয়। সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রয়োজন একটু সচেতনতা, ধৈর্য ও সতর্কতা। শক্ত হাতে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধের কার্যক্রম আরো জোরদার করতে হবে।
বাড়াতে হবে জনসচেতনতা।