বোয়ালখালী উপজেলার বিভিন্ন সড়কে চলাচল করছে বালু ভর্তি খোলা ট্রাক। ত্রিপল বা কাপড় দিয়ে ঢেকে বালু নেয়ার নির্দেশ থাকলেও তা মানছে না কেউ। ফলে বায়ুদূষণের কবলে পড়ছে জনসাধারণ। বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি।
জানা যায়, খোলা ট্রাকে বালু পরিবহন করায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ট্রাকচালকদের জরিমানা ও ত্রিপল ব্যবহারের নির্দেশ দিলেও প্রশাসনের কথা তোয়াক্কা না করে ত্রিপল ছাড়ায় বালু নিয়ে ট্রাক চলাচল করতে দেখা যায়। উপজেলার বিভিন্ন সড়কে প্রতিদিন প্রায় কয়েকশ ট্রাক বালু নিয়ে চলাচল করে। গত রোববারও বোয়ালখালী–পটিয়া সড়কে ত্রিপল ব্যবহার না করে খোলা অবস্থায় বেপরোয়াভাবে বালু নিয়ে যেতে দেখা গেছে। এভাবে বালু পরিবহনের ফলে সড়কের আশে পাশে বালুকণা ছড়িয়ে পড়ে। এ কারণে শ্বাসকষ্টসহ নানা ধরনের রোগের সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। সড়কে চলালচলেও ভোগান্তিতে পড়েন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
মোটরসাইকেল চালক কামরুল ইসলাম বলেন, খোলা ট্রাকে বালু নেয়ার সময় বালুকণা উড়ে এসে চোখে পড়ে। চোখ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মেটরসাইকেল চালাতে সমস্যা হয়। ফলে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
সিএনজি টেঙিচালক মো. আবছার উদ্দিন বলেন, বালুর উপর প্লাস্টিক (ত্রিপল) ব্যবহার না করার কারণে বালুগুলো সড়কে উড়তে থাকে। যার কারণে আমাদের মত ছোট গাড়িগুলো চালাতে সমস্যা হয়। যাত্রীদের চোখে বালুকণা পড়তে থাকে।
বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রতীক সেন বলেন, বায়ুদূষণের ফলে বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হয়। এতে জ্বর, সর্দি, কাশিও হতে পারে। বায়ুদূষণ দীর্ঘমেয়াদী হওয়ার ফলে ফুসফুস, কিডনীসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে বায়ুবাহিত রোগের সৃষ্টি হয়। আর সড়কে বালুকণা উড়তে থাকলে মানুষের চোখে পড়ে চোখের সমস্যা হতে পারে। এতে চোখের বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে।
বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন বলেন, ত্রিপল ব্যবহারের নির্দেশ দেয়ার পরেও তারা তা মানছে না। বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। কয়েকদিনের মধ্যে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করব।