আনোয়ারা থানার পূর্ব গেইটের প্রধান সড়কে টয়লেটের পানি চলে এসে পরিবেশ নষ্ট করছে। দুর্গন্ধে দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হচ্ছে এলাকাবাসীর। প্রায় দুই বছর ধরে এই দুর্গতি চললেও দেখার যেন কেউ নাই। টয়লেটের ময়লা পানির কারণে পুরো এলাকার ছড়িয়ে পড়েছে দুর্গন্ধ। এতে দুর্ভোগের শিকার স্থানীয় ব্যবসায়ী, মুসল্লী, শিক্ষার্থী, পথচারীসহ নানান পেশার মানুষ।
এলাকার ভুক্তভোগী মানুষের অভিযোগ, থানার পাশে গড়ে উঠা বিভিন্ন বাণিজ্যিক ভবনের টয়লের এসব ময়লা পানি বন্ধ বা অপসারণের জন্য গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে বারবার সংশ্লিষ্ট বাড়ির মালিক ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানালেও এসব পানি সরানোর কোনো উদ্যোগ নেই। পবিত্র রমজান মাসে এসব ময়লা পানির দুর্গন্ধে এলাকার বাতাস দূষিত হয়ে উঠেছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. নাছিরের অভিযোগ, গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে আমরা আনোয়ারা থানা রোড়ের পূর্ব গেইটের ব্যবসায়ীরা স্থানীয় বাণিজ্যিক ভবনের টয়লেটের ময়লাযুক্ত দুর্গন্ধ পানির কারণে অতিষ্ট। ময়লা পানি বন্ধ না করে ছেড়ে দিলে প্রতিদিন এসব পানি নালা গড়িয়ে প্রধান সড়কে জমে থাকে। এতে পুরো এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়ায়। অন্যদিকে বিভিন্ন যানবাহনের চাকার ঝাঁপটায় ময়লা দুর্গন্ধ পানি পথচারী, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, মুসল্লীসহ নানান পেশার মানুষের গায়ে পড়ে জামা নষ্ট হচ্ছে। আমরা ভুক্তভোগীরা গত দুই বছর ধরে উপজেলা প্রশাসনসহ ইউনিয়ন বোর্ডে একাধিকবার অভিযোগ দিলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
আনোয়ারা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাওন বলেন, থানার পূর্ব গেট এলাকা দিয়ে পায়ে হেঁটে বিদ্যালয় যাওয়ার সময় বিভিন্ন যানবাহনের চাকার ঝাঁপটায় আমাদের জামা কাপড় নষ্ট হয়। আর দুর্গন্ধের কারণে ওই এলাকা দিয়ে হাঁটাও অনেক কষ্টকর হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, আনোয়ারা থানা সড়কের পূর্ব গেইট এলাকার প্রধান সড়কে ছড়িয়ে পড়েছে ময়লা–দুর্গন্ধযুক্ত টয়লেটের পানি। পথচারীরা নাক চেপে ধরে পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। আনোয়ারা সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ও আনোয়ারা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, আনোয়ারা থানা মসজিদের মুসল্লী, আনোয়ারা থানা, পোস্ট অফিসসহ কয়েক শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্রেতা–বিক্রেতা ছাড়াও সদরের এ এলাকায় বসবাসরত নানান পেশার মানুষ এই দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা পানির দুর্ভোগের শিকার। এলাকার নানান পেশার মানুষ অতি দ্রুত ময়লা পানির বিষয়ে প্রশাসনের কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হোসাইন মুহাম্মদ জানান, অভিযোগ পেলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।