সড়কে অবৈধ পার্কিং ও ভাসমান দোকান, যানজটে দুর্ভোগ

চাতরি চৌমুহনী ও মইজ্যারটেক

এম. নুরুল ইসলাম, আনোয়ারা | শুক্রবার , ৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ৫:৩৭ পূর্বাহ্ণ

আনোয়ারার চাতরি চৌমুহনী বাজারে প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা দীর্ঘ যানজটের কারণে যাত্রীদের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। বাজারে সড়ক দখল করে ভাসমান দোকান বসানো ছাড়াও সড়কে ইচ্ছেমত বাস পার্কিং, সিএনজি ও অটোরিকশা স্টেশনের নামে সড়ক দখল ও মইজ্যারটেকে সড়ক দখল করে সিএনজি পার্কিং আর ট্রাফিক অব্যবস্থাপনা প্রতিদিন যানজট সৃষ্টির অন্যতম কারণ বলে জানা গেছে।

মইজ্যারটেক আর চাতরি চৌমহনী বাজারে আলাদা ট্রাফিক নিয়োজিত থাকলেও তাদের কার্যক্রম চলছে নানা অব্যবস্থাপনায়। আনোয়ারা উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ চাতরি চৌমুহনী বাজারে যানজট নিরসনে উপজেলা প্রশাসন থেকে বিভিন্ন সময়ে নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণেও কোন সুফল মিলেনি। এমনকি প্রশাসনিক অভিযানেও কোন প্রভাব পড়েনি। স্থানীয় একটি বড় সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে এ বাজারটি নিয়ন্ত্রণ করে। সব কিছুর মূলে রয়েছে টাকা ভাগাভাগি। চাতরি বাজারে সিএনজি, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ভাসমান দোকান ঘিরে রয়েছে সিন্ডিকেটের অনৈতিক টাকা আদায়। যার কারণে সহজে যানজট নিরসন করা যাচ্ছে না। চাতরি চৌমহনী যানজটের কারণে কোরিয়ান ইপিজেডের ৩৫ হাজার শ্রমিক ছাড়াও স্থানীয় বিভিন্ন পেশার হাজার হাজার মানুষ যানজটের কারণে ভোগান্তির শিকার। এছাড়া চন্দনাইশ, বাঁশখালী, সাতকানিয়াসহ বিভিন্ন উপজেলার হাজার হাজার যাত্রী এখানে যানজটের কারণে প্রতিদিন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।

চাতরি চৌমহনী বাজারের ব্যবসায়ী হোসেন মো. ইকবাল জানান, দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রবেশদ্বার শাহ আমানত সেতুর টোল প্লাজায় প্রতিদিন সাধারণ যাত্রী যানজটে পড়ে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। বর্তমানে যানজট নিরসনে টানেল সংযোগ সড়কের শিকলবাহা ওয়াইজংশন থেকে কালাবিবি দিঘীর মোড় পর্যন্ত ৭ কিলোমিটারের বেশি সড়ক ৬ লেনে উন্নীত করার মূল কারণ ছিল যানজট নিরসন। সড়ক উন্নয়নের ফলে স্বাভাবিক সময়ে কর্ণফুলী ব্রিজ থেকে চাতরি চৌমুহনী বাজার আসতে ১টি গাড়ির ১৫/২০ মিনিট সময় লাগে মাত্র। কিন্তু বর্তমানে যানজটের কারণে চাতরি চৌমহনী বাজার, মইজ্যারটেক, নতুন ব্রিজের টোল প্লাজাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে সকাল সন্ধ্যা যানজটে পড়ে ২০ মিনিটের স্থলে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগে।

স্থানীয় অপর ব্যবসায়ী সাকিল বিন ইসলাম বলেন, চাতরি চৌমহনী বাজারে ইচ্ছে করে সড়কে বাস দাঁড়িয়ে থাকা, মূল সড়ক দখল করে সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত রিকশার স্ট্যান্ড গড়ে উঠা আর ভাসমান দোকানসহ ট্রাফিক অব্যবস্থাপনার কারণে প্রতিদিন যানজট তৈরি হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ট্রাফিক ইন্সপেক্টর বলেন, স্থানীয় সিন্ডিকেটের লোকজনের কারণে আমরাও অসহায়। যতদিন বাজারের মূল সড়ক থেকে অবৈধভাবে টাকার বিনিময়ে বসানো হকার আর অবৈধ গাড়ি পার্কিং সরানো হবে না, ততদিন এখানে যানজট থাকবে। এখানে ট্রাফিকদের তেমন কিছু করার থাকে না।

আনোয়ারা থানার ওসি মনির হোসেন জানান, চাতরি চৌমহনী বাজারের যানজট নিরসনে ট্রাফিকের পাশাপাশি পুলিশও নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার বলেন, চাতরি চৌমহনী বাজারকে স্থায়ীভাবে যানজটমুক্ত করতে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। দুই একদিনের মধ্যে বাজার পরিদর্শন করে এ ব্যাপারে সিদ্ধন্ত নিব।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচান্দগাঁও ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলরের সহযোগী গ্রেপ্তার
পরবর্তী নিবন্ধহাসিনার সেই ৪০০ কোটির পিয়ন নিউইয়র্কে?