হাসেম ফুডস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে অর্ধ শতাধিকের মৃত্যুর ঘটনায় সজীব গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল হাসেম ও সিইও শাহানশাহ আজাদসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার দুপুরে মামলা দায়েরের পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে হাসেমের চার ছেলে রয়েছেন, যারা কোম্পানির পরিচালক। তারা হলেন- হাসীব বিন হাসেম (৩৯), তারেক ইব্রাহীম (৩৫), তাওসীব ইব্রাহীম (৩৩) ও তানজিম ইব্রাহীম (২১)। এছাড়া গ্রেপ্তার করা হয়েছে হাসেম ফুডসের উপমহাব্যবস্থাপক মামনুর রশীদ এবং প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসনিক কর্মকর্তা প্রকৌশলী মো. সালাউদ্দিনকে। খবর বিডিনিউজের।
এই আটজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়ে রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির মোল্লা বলেছেন, তাদের ১০ দিনের জন্য রিমান্ডে চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকালে তাদের আদালতে তুলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে বিচারক চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাহবুবুর রহমান ইসমাইল। তিনি জানান, শুনানি শেষে জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা খাতুন চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। আদালত থেকে বের হওয়ার পর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সজীব গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসেম বলেন, আমার কোনো বক্তব্য নেই। মামলা হয়েছে সেখানেই সব হবে।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় সজীব গ্রুপের হাসেম ফুডস কারখানায় বৃহস্পতিবার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অর্ধ শতাধিক শ্রমিক-কর্মচারী প্রাণ হারান। অগ্নিকাণ্ডের পর কারখানাটিতে ত্রুটিপূর্ণ অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা, জরুরি নির্গমন পথে তালা লাগানোর বিষয়টি প্রকাশ পায়। কারখানাটিতে শিশু শ্রমিক ব্যবহারের বিষয়টিও হয় প্রকাশ্য। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের পক্ষ থেকে শনিবার আটজনকে আসামি করে হত্যা মামলা হয় বলে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ এনে ৩০২সহ কয়েকটি ধারায় এই মামলা হয়। শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আটজনকে আটকের কথা জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালও। এরপর বেলা দেড়টার দিকে ঢাকার ফার্মগেইটের ভবন সিজান পয়েন্টে সজীব গ্রুপের অফিস থেকে প্রতিষ্ঠানটির সিইও শাহানশাহ আজাদকে আটক করে পুলিশ। মামলাটি করেছেন রূপগঞ্জের ভূলতা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক নাজিম উদ্দিন মজুমদার।