সচেতনতা বাড়াতে পুলিশ আবার মাঠে

মাস্ক ও লিফলেট বিতরণের পাশাপাশি চলছে মাইকিংও

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২২ মার্চ, ২০২১ at ৬:১৭ পূর্বাহ্ণ

করোনা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে আবারও মাঠে নামলো পুলিশ। চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গতকাল থেকে তারা বিনা মূল্যে মাস্ক বিতরণ শুরু করেছে। সিএমপির বিভিন্ন জোনে মাস্ক বিতরণের পাশাপাশি সাধারণের সচেতনতা বৃদ্ধিতে লিফলেট দেয়া ও মাইকিং করা হয়। সিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, প্রথমে মানুষকে সচেতন করতে মাস্ক দেয়া হলেও পরবর্তীতে বাধ্য করা হবে। কেউ মাস্ক না পরলে করা হবে জরিমানা।
‘মাস্ক পরার অভ্যেস, করোনামুক্ত বাংলাদেশ’- এ স্লোগানকে ধারণ করে চট্টগ্রামে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে জনগণকে মাস্ক পরতে উদ্বুদ্ধকরণে নগরীর সিআরবিতে রোববার সকালে সচেতনতা কর্মসূচির উদ্বোধন করেন সিএমপি কমিশনার সালেহ মুহাম্মদ তানভীর। এসময় সিএমপি কমিশনার বলেন, মানুষকে সচেতন করতে কাজ করে যাবে পুলিশ। মাস্ক পরা ও হাত ধোয়ার মতো ছোট বিষয়গুলো মেনে নিতে পারলে করোনা মোকাবেলা সম্ভব। তিনি বলেন, সবাই মিলে যদি আমরা নিরাপদ হই, তবেই বাংলাদেশ নিরাপদ হবে। নগরীর প্রতিটি ইউনিটের পুলিশ মাস্ক পরার প্রচারণা চালাবে। যাদের মাস্ক নেই, তাদের মাস্ক দেওয়া হবে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে প্রয়োজনে কঠোর হওয়ার কথাও জানান তিনি।
এদিকে জনগণকে মাস্ক পরতে উদ্বুদ্ধ করতে পুলিশের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল রোববার নগরীর বিভিন্ন মোড়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম ও মাস্ক বিতরণ করে ট্রাফিক বিভাগও। নতুন ব্রিজ মোড়ে কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) শ্যামল কুমার নাথ, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক,দক্ষিণ) এন এম নাছিরুদ্দীন, টি আই (বাকলিয়া) সামছুদ্দিন। জিইসি মোড়ে ট্রাফিক উত্তর বিভাগের পক্ষ থেকে টিআই প্রসিকিউশন মশিউর রহমানের সমন্বয়ে মাস্ক বিতরণ করা হয়। টিআই পশ্চিম বিভাগের পক্ষ থেকে ডিসি ট্রাফিক তারেক আহমেদের নেতৃত্বে ও টিআই প্রসিকিউশন বিপ্লব কুমার পালের সমন্বয়ে মাস্ক বিতরণ করা হয়। টিআই (বন্দর) জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বেও মাস্ক বিতরণ করা হয়। পরে ট্রাফিক বিভাগের উদ্যোগে দুটি মিনি ট্রাকে করে নগর জুড়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচারণা চালানো হয়।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে গানে গানে প্রচারণায় নেমেছে সিএমপি উত্তর বিভাগ। রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় নগরীর ষোলশহর দুই নম্বর গেটের বিপ্লব উদ্যানে পাঁচলাইশ মডেল থানা আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এমন ব্যতিক্রমী প্রচারণার উদ্বোধন করেন সিএমপির উপ কমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক। অনুষ্ঠানে বাউল গান পরিবেশন করেন বাউল শিল্পী মোহাম্মদ কামাল, সহ-শিল্পী আব্দুর রাজ্জাক ও মোহাম্মদ রফিক। অনুষ্ঠানে উপস্থিত চার শতাধিক মানুষের মাঝে মাস্ক বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানের পর গাড়িতে মাইক লাগিয়ে বাউল গানের মাধ্যমে করোনার বিষয়ে সচেতনতা তৈরির পাশাপাশি মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে পুলিশের পক্ষ থেকে। পাঁচলাইশ মডেল থানার ওসি আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, আইজিপির নির্দেশে বাংলাদেশ পুলিশের সকল ইউনিট দ্বিতীয় ধাপে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরি সহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে প্রচারণা চালাচ্ছে। পাঁচলাইশ থানা পুলিশও নানান কর্মসূচি পালন করছে। বাউল গানের অনুষ্ঠানে সবার মাঝে মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে।
নগরীর ১০০ স্পটে এক লাখ মাস্ক বিলি করছে ডবলমুরিং থানা পুলিশ। ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন এ প্রসঙ্গে বলেন, মাস্ক করোনা প্রতিরোধে সবচেয়ে সহজ সমাধান। মানুষ এবং করোনার মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে এ মাস্ক। তাই মাস্ক পরতে উদ্বুদ্ধ করতে আমরা ১০০টি স্পটে এক লাখ মাস্ক বিলির উদ্যোগ নিয়েছি। অফিসার ও স্বেচ্ছাসেবীদের সমন্বয়ে গঠিত টিমগুলো ১০০ স্পটে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ শুরু করে। মাস্ক সচেতনতামূলক এ কর্মসূচি মাসব্যাপী চলবে বলে জানান ওসি। এছাড়া বিভিন্ন থানার উদ্যোগে মাস্ক বিতরণ কর্মসূচি চলে দিনভর।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিএনপির ১২ নেতাকর্মী কারাগারে
পরবর্তী নিবন্ধ৩৪ ধরনের বাংলা মিউটেশন