সচেতনতাই একমাত্র আমাদের বেঁচে থাকার উপায়

প্রতিমা দাশ | বৃহস্পতিবার , ৮ এপ্রিল, ২০২১ at ৭:০১ পূর্বাহ্ণ

গত বছরের মতো আবারো সেই লকডাউন। করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে কি দুর্বিষহ গৃহবন্দী জীবন। এখন প্রতিটি নতুন ভোর আসে দুশ্চিন্তা, হতাশা আর অজানা ভবিষ্যতের আশংকা নিয়ে। বিশ্বের সকল মানুষের মনের ভিতর এখন একটাই প্রশ্ন উঁকি দেয়, কখন যাবে এই প্রাণঘাতী করোনা? কিংবা আদৌ কি যাবে? এই করোনাকে নিয়ে আর কত বছর বাঁচতে হবে কেউ বলতে পারে না। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তরা নিজেদের এবং সন্তানদের ভবিষ্যত নিয়ে সন্ধিহান, আর নিম্নবিত্ত রা কোনরকমে ডাল ভাত খেয়ে কতদিন বেঁচে থাকবে তা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত। গতবারের মতো এবারেও রাষ্ট্রের উচিৎ তাদের খেয়েপড়ে বেঁচে থাকার দায়িত্ব নেওয়া। অপ্রিয় হলেও এটাই সত্যি যে আগামী কয়েক বছর আমাদের এই কোভিড নিয়ে বেঁচে থাকতে হবে, আর একটা অদৃশ্য যুদ্ধকে মেনে নিয়ে জীবনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে।
এর জন্য সচেতনতাই একমাত্র আমাদের বেঁচে থাকার উপায়, আর কোন বিকল্প নেই। নিজের প্রতিদিনকার রুটিনের মধ্যে আমাদের আনুষাঙ্গিক যা করা প্রয়োজন আমাদের তাই করে যেতে হবে। নাকে মুখে মাক্স পরা, ভালো করে সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়া, চার ফুট দূরত্ব বজায় রাখা, যতটা সম্ভব ভীড় এড়িয়ে চলা। সামাজিক অনুষ্ঠানগুলো বয়কট করা, ধর্মীয় প্রার্থনা যথাসম্ভব ঘরের ভিতরে করা। অনেকেই টিকা দিয়ে ভাবছেন তার আর করোনা হবে না, মাক্স না পরলেও চলবে কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। টিকা গ্রহণকারীকেও সমান সচেতন হতে হবে। বাংলাদেশে এখনও ৭০ ভাগ মানুষ সচেতন নয় তারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছে না, মাক্স পরছে না, অনেকে মাক্স পড়লেও সেটা নাকের নিচে কিংবা চিবুকের নিচে পড়ে থাকছে, একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের উচিত আমরা যখন কাজের প্রয়োজনে বের হবো আশেপাশের মানুষগুলোকে এই ব্যাপারগুলোতে সচেতন করবো।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাজনীতিতে ক্লিন ইমেজ!
পরবর্তী নিবন্ধকাল আজকাল