‘সচিবালয় ভাতা’ চালুর দাবিতে আন্দোলনে নেমে গ্রেপ্তার হওয়া ১৪ কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সতাদের গ্রেপ্তারের তারিখ থেকে বরখাস্তের ভিন্ন আদেশ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। বরখাস্ত হওয়া কর্মচারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সাতজন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে কর্মরত। ফৌজদারী অপরাধের অভিযোগে তারা গ্রেপ্তার হওয়ায় বিধি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়ার তথ্য দিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা, যিনি নাম প্রকাশ করতে চাননি। ওই কর্মকর্তা বলেন, তাদের গ্রেপ্তারের দিন ১২ ডিসেম্বর থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
বরখাস্তের প্রজ্ঞাপনে লেখা হয়েছে, সরকারি চাকরি আইন অনুযায়ী কেউ কোনো ফৌজদারি মামলায় গ্রেপ্তার হলে তাকে গ্রেপ্তারের দিন থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা যাবে। গতকাল গ্রেপ্তার ১৪ কর্মকর্তা–কর্মচারীকে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে তাদের জামিনের আবেদন নাকচ করে এ আদেশ দেন।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তা–কর্মচারীদের মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চারজন রয়েছেন। তারা হলেন– বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা–কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের একাংশের সভাপতি মো. বাদীউল কবির, অফিস সহায়ক মো. কামাল হোসেন, মো. আলিমুজ্জামান ও মো. নজরুল ইসলাম। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগ মিলিয়ে সাতজনকে বরখাস্ত করা হয়। তারা হলেন– প্রশাসনিক কর্মকর্তা রোমান গাজী ও শাহীন গোলাম রব্বানী, অফিস সহায়ক মো. আবুল বেলাল, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. তায়েফুল ইসলাম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র রায়, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ইসলামুল হক ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. মহসীন আলী।
এছাড়া তথ্য মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক মো. মিজানুর রহমান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অফিস সহায়ক মো. নাসিমুল হক এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক বিপুল রানা বিপ্লবও রয়েছে সাময়িক বরখাস্তের এ তালিকায়।












