সচিবালয়ে এখন তারাই, যারা স্লিপের মাধ্যমে এসেছে : জামায়াত

লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের ব্যাপারে সরকার তেমন পদক্ষেপ নেয়নি

| মঙ্গলবার , ২৯ জুলাই, ২০২৫ at ৫:৩৬ পূর্বাহ্ণ

বহু কর্মকর্তাকে বিগত সরকারের ‘প্রেতাত্মা’ বলে বাদ দিয়ে সচিবালয়ে যাদের আনা হয়েছে, তারা ‘স্লিপের মাধ্যমে’ নিয়োগ পাওয়া বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের।

গতকাল সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপের বিরতিকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। সাংবাদিকদের সামনে তাহের বলেন, আগে থেকেই কয়েকটি সাংবিধানিক কমিটি স্বাধীন ছিল। এখানে সরকারের হস্তক্ষেপ করার কোনো আইনি ব্যবস্থা ছিল না। কিন্তু আমরা দেখছি, নিয়ম যেটাই হোক, ড্রয়ার থেকে একটা স্লিপ বের হয় এবং সেই স্লিপ অনুসারেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ কারণে অনেক মেধাবী ছেলে রাজনৈতিক কারণে চাকরি পাননি, অনেকে চাকরি হারিয়েছেন এবং এটার জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাষ্ট্র। খবর বিডিনিউজের।

তিনি বলেন, অনেক সচিব ড্রাফট করতে পারতেন না, ড্রাফিংটা এসিস্টেন্স সেক্রেটারি লেভেলের কাজ, কিন্তু দেখা যায় সচিব জানেন না। অনেক সচিব আছেন, যারা ইংরেজিতে ড্রাফ করতে পারেন না। এই যে বিশাল অধঃপতন, আমাদের রাষ্ট্রের দুর্বলতাতারা বিদেশে গিয়ে দর কষাকষি করতে পারে না।

সেজন্য আমরা বলেছি, পিএসসির সাংবিধানিক একটা কমিটি থাকবে। এখানে কোনো দলের, কোনো মন্ত্রীর, কোনো প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ থাকতে পারবে না। এটার বিরোধিতা করার তো আমি কোনো কারণ দেখতেছি না।

জামায়াতের এ নেতা বলেন, আমরা বলি, সচিবালয়ে স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা আছে। তো তাইলে এরা কারা? এরা হচ্ছে তারা, যারা স্বৈরাচার মেরিটকে বাদ দিয়ে স্লিপের মাধ্যমে, তালিকার মাধ্যমে নিয়োগ পেয়েছে। এরপর যদি আমরা আবার সে পদ্ধতিতেই নিয়োগ দিই, তাহলে আমরা কি সারাক্ষণ প্রেতাত্মার আওতায় থাকব। এজন্য আমরা চাচ্ছি প্রেতাত্মা দূর করতে। দোয়া দরুদ সূরাটুরা যা পড়া দরকার পড়ে প্রেতাত্মাহীন একটা উন্নত সচিবালয়, উন্নত সরকারি কর্মকর্তা, যিনি দেশকে ভালোবাসেন, যিনি যোগ্যতার ভিত্তিতে আসবেন, এটা নিশ্চিত করা দরকার। সেজন্য অধিকাংশ দল এই মতের পক্ষে চূড়ান্তভাবে একমত।

নির্বাচনের লেভেল প্লেইং ফিল্ড দেখছে না জামায়াত :

তাহের বলেন, নির্বাচনে যাওয়ার প্রস্তুতি আমাদের আছে। কিন্তু নানা ষড়যন্ত্র দেখছি। কারণ এখনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের ব্যাপারে সরকার তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয় নাই। নির্বাচন কমিশনের অনেক কাজ। যেমনপ্রবাসীদের ভোটার করা, তারপর বিভিন্ন আইন তৈরি করা, ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা। এগুলো এখনো করে নাই। আমরা যদি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন ধরে নিই, তাহলে এসব প্রস্তুতি তো আরো জোরদার হতে পারে। সেজন্যই আমাদের কাছে একটু আশঙ্কা লাগে, কোনো জায়গা থেকে চক্রান্ত আছে কি না। তাহের বলেন, আজকের (গতকাল) বৈঠকে মূলত সাংবিধানিক এবং সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। পিএসসির (পাবলিক সার্ভিস কমিশন) ওপরেই আমাদের আজ আলোচনা হচ্ছে। তো আলোচনার শুরুতেও আমাদের আজকের পার্লামেন্ট (জাতীয় ঐকমত্য হাউস) একটুখানি উত্তেজিত হয়েছিল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে ১৫ দিনব্যাপী বৃক্ষমেলা শুরু প্রদর্শিত হচ্ছে ২০৬৫ প্রজাতির চারা
পরবর্তী নিবন্ধকক্সবাজার সৈকতে প্রকাশ্যে স্ত্রীকে মারধর, যুবক গ্রেপ্তার