গত সোমবার থেকে ৪ দিন ধরে টানা ভারী বর্ষণে সড়ক ডুবে গিয়ে রাঙামাটি জেলার লংগদু উপজেলার সঙ্গে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সড়ক ডুবে যাওয়ায় নৌকা আর ইঞ্জিনচালিত বোটে করে যাত্রীরা চলাচল করছেন। এছাড়া মাইনি নদীর পানি বেড়ে লংগদু উপজেলার বেশকিছু সড়কে পানি জমে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।
লংগদু উপজেলার আটারকছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অজয় মিত্র চাকমা জানান, বামে আটারকছড়ার তেতুঁলতলা এলাকার মূল সড়কে পানি উঠেছে। সড়কে পানি উঠায় যান চলাচল করতে সমস্যা হচ্ছে। দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মিনা চাকমা জানান, হেডকোয়ার্টার এলাকায় বুধবার থেকে পানি বেড়ে যাওয়ায় লংগদু–দীঘিনালা সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। পানি এখনো কমেনি। লোকজন নৌকা আর ইঞ্জিনচালিত বোটে করে চলাচল করতেছে।
লংগদু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের একটা জায়গার পানি উঠে লংগদু–দীঘিনালা সড়কে যান চলাচল করা যাচ্ছে না। লোকজনের যাতায়াত করতে একটু কষ্ট হচ্ছে।
এদিকে, রাঙামাটি জেলা শহরের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, জেলা তথ্য অফিস থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। রাঙামাটি জেলা প্রশাসন থেকে জেলায় ২৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
রাঙামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিফাত আসমা জানান, লোকনাথ মন্দিরের আশ্রয়কেন্দ্রে ৮টি পরিবারের ৪০ জন আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় আমাদের মাইকিং চলমান রয়েছে।