রবীন্দ্র সঙ্গীতশিল্পী নন্দিনী রায় আজাদীকে বলেছেন, সঙ্গীত চলমান জীবনের সুখকর একটি মুহূর্ত। সঙ্গীতের সুরের সাথে ছন্দের দারুণ মিতালি রয়েছে। আর জীবনের সাথে সুর ও ছন্দের মিতালি রয়েছে। সঙ্গীতের সুর ধর্ম–বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে একসূত্রে বেঁধে রাখার ক্ষমতা রাখে। আর এই সুরে ফুটে ওঠে সুখ–দুঃখ–আনন্দ–বেদনা–আবেগ–অনুভূতি। তিনি বলেন, আজকে বিশ্ব সঙ্গীত দিবসে দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, সঙ্গীতে আমরা ক্রমেই পরনির্ভরশীল হয়ে উঠছি। আমাদের অস্তিত্ব থেকে দূরে সরে যাচ্ছি। নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত আমরা একটা প্রজন্ম তৈরি করতে পেরেছি। আমাদের নিজেদের বলতে অনেক কিছু ছিল। এখন তো বাইরের সঙ্গীতের ধারাই বেশি অনুসরণ করা হচ্ছে। আমাদের ফোক গানের বিদেশি আয়োজনটাই বেশি শোনে এখনকার ছেলেমেয়েরা। কলকাতায় রিয়েলিটি শোয়ে ফোক গান ব্যবহার করা হচ্ছে। অধিকাংশই আমাদের ফোক। মানুষ সেগুলো আগ্রহ নিয়ে শুনছেন। আমাদের সম্পদ নিয়ে অন্যরা কাজ করছেন, অথচ আমরা পারছি না। বিদেশি প্রতিষ্ঠান এসে নতুন আয়োজনে আমাদের গানগুলো তাদের করে নিচ্ছে। এসব আমাদের জন্য অ্যালার্মিং। এসব চলতে থাকলে আমরা সাংস্কৃতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে পড়ব।
নন্দিনী রায় বলেন, সঙ্গীতে আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্য রয়েছে। তা ধরে রাখতে হবে, লালন করতে হবে। সঙ্গীতশিল্পীদের প্রতি অবহেলার একটি বিষয় লক্ষ্য করা যায়। গানের মানুষ তাদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। শিল্পীদের মধ্যে বাউলিয়ানা ভাব থাকে। অর্থ–বৈভবের দিকে তারা ছোটেন না। সারাক্ষণ সৃষ্টির পেছনে পড়ে থাকেন। সর্বক্ষেত্রে শিল্পীদের মূল্যায়ন হওয়া উচিত।