সঙ্গীতকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে শিল্পীদের বাঁচাতে হবে

হাসনাত চৌধুরী

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২১ জুন, ২০২৩ at ৪:৫১ পূর্বাহ্ণ

সঙ্গীতশিল্পী হাসনাত চৌধুরী আজাদীকে বলেছেন, ফার্সি সাহিত্য প্রবাদে একটা কথা রয়েছে, তলোয়ার দিয়ে রাজ্য জয় করা যায়, তেমনি সঙ্গীত দিয়ে শত্রুকে বন্ধু করা যায়। সঙ্গীতই একমাত্র অক্ষরবর্ণমালাহীন একটি ভাষা মাধ্যম, যা দ্বারা জাতিতে জাতিতে ভাবাবেগের লেনদেন সম্ভব। সুফি সাধক খাজা নিজামুদ্দিনের গুরু তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিলেন, কী আশীর্বাদ চাও বলো। আমি তাই করব। উত্তরে নিজামুদ্দিন বলেছিলেন, আমি আজীবন আপনার সেবায় থাকতে চাই এবং দোয়া করুন যেন পৃথিবীর প্রতি নির্মোহ থেকে ধর্ম বর্ণ জাতি নির্বিশেষে মানুষের সেবা, কল্যাণ কামনা করেই জীবন কাটাতে পারি। এছাড়া অর্থ, সম্পদ ও জশখ্যাতির কোনো মোহ আমার নেই। কিন্তু শেষ বয়সে এসে তিনি আক্ষেপ করতেন নিজ শিষ্যদের কাছে এই বলে, যদি সেদিন এই আশীর্বাদ চাইতাম যে, আমি যেন বাকি জীবন সঙ্গীত শুনে কাটাতে পারি! সঙ্গীতের অতলস্পর্শী ক্ষমতা এতই প্রবল যে, জন ক্রাউন বলেছিলেন, সঙ্গীত মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত মানুষকে স্পর্শ করে।

তিনি বলেন, সঙ্গীত গুরুমুখী বিদ্যা ঠিকই, তবে যমুনাতট সংলগ্ন প্রাসাদে তানসেনের পরিবেশনায় মন্ত্রমুগ্ধ আকবর যখন প্রাসাদের বাইরে থেকে উন্মাদ প্রেমিক বৈজু বাওড়ার আত্মা থেকে উৎসারিত গানের আর্তিতে চমকে উঠেন সভাসদসহ, তখন বলতেই হয় সঙ্গীতে ঐশ্বরিক দানও ফেলনা নয়।

হাসনাত চৌধুরী বলেন, বিশ্ব সঙ্গীত দিবসে মনের অনুভূতিগুলোকে প্রকাশ করতে, গানকে ভালোবাসতে আহ্বান জানাই। সুরকে ভালোবাসতে আহ্বান জানাই। বলতে চাই, সঙ্গীতকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে শিল্পীদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসবাইকে একসূত্রে বেঁধে রাখার ক্ষমতা আছে সঙ্গীতের
পরবর্তী নিবন্ধকাজীর দেউড়িতে পাজেরোর সাথে সংঘর্ষে টেক্সিচালক আহত