সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত সড়ক দখল করে কোনো ধরনের বাজার না বসানোর নির্দেশনা দিয়েছেন চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।
তিনি বলেন, যদি আমার ঘোষণা না মেনে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা হয়, তাহলে আমি আইনানুগ ব্যবস্থা নিব। গতকাল বুধবার নগরসেবায় ক্যারাভান কর্মসূচি পালনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
দুপুরে আগ্রাবাদ চৌমুহনী মোড় থেকে শুরু হয়ে বেপারী পাড়া, ছোটপুল হয়ে বড়পুল পর্যন্ত চলে কর্মসূচি। এসময় প্রশাসক কিছু পথ স্কুটি চালিয়ে এবং কিছু পথ হেঁটে লোকজনের সাথে কুশলাদি বিনিময়ের পাশাপাশি পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম নিয়মিত হয় কিনা, সড়ক বাতি নিয়মিত জ্বলে কিনা জানতে চান।
কর্মসূচি চলাকালে ভাঙা স্ল্যাব দেখে তা আজ দুপুর ২টার মধ্যে ঠিক করার জন্য চসিকের প্রকৌশলীদের নির্দেশনা দেন। এক জায়গায় ময়লার স্তূপ দেখে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বেপারী পাড়ার মুখে রাস্তার ওপর বাজার দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন প্রশাসক। এছাড়া বড়পুলের আগে রাস্তা ও ফুটপাতে থাকা বিভিন্ন কাঠের দোকানের মালামাল সরিয়ে নেয়ার নির্দেশনা দেন এবং পরিচ্ছন্ন সুপারভাইজারকে তা নিয়মিত মনিটরিংয়ের আদেশ দেন। এসময় রাস্তার দু’পাশে দাড়িয়ে থাকা নগরবাসী প্রশাসকের অভিনব এই কর্মসূচিকে অভিনন্দন জানান এবং প্রশংসা করেন।
তখন প্রশাসক রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা নগরবাসীকে সাবান ও মাস্ক বিতরণ করেন। এছাড়া আগ্রাবাদ চৌমুহনী মোড়ের বেশ কিছু রেস্টুরেন্টে ঢুকে তাদের পঁচা-বাসী খাবার বিক্রি না করার কথা বলেন প্রশাসক। জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কোনো খাবার বিক্রি করলে চসিকের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হবে বলে সতর্ক করেন তিনি।
কর্মসূচি চলাকালে বিভিন্ন স্পটে বক্তব্য দিতে গিয়ে সুজন বলেন, আমি আপনাদের সুখ দুঃখের সাথী হতে চাই। আপনাদের নিকট আমার আহ্বান থাকবে আপনারা নগরীকে পরিস্কার, পরিচ্ছন্ন, পরিবেশবান্ধব ও মানবিক শহর হিসেবে গড়ে তুলতে সহযোগিতা করবেন। সড়ক, ফুটপাত দখল করে অবৈধ স্থাপনা ও বাজার বসাবেন না। সড়ক গাড়ি চলাচলের জন্য, ফুটপাত জনগণের হাঁটার জন্য।
সড়ক-ফুটপাত দখল করে নাগরিক দুর্ভোগ সৃষ্টি করলে কর্পোরেশনের প্রশাসক হিসেবে আমি আপনাদের সরে যাওয়ার অনুরোধ করবো। না সরলে আইনানুগ ব্যবস্থা নিব। তিনি বলেন, নগরীর ৬০ লক্ষ মানুষ আমার কর্মী বাহিনী। আপনারা সকলেই আমার কাজের অংশীদার।