সকালে প্রেমিক বোয়ালখালী উপজেলার ইমামনগরের মোহাম্মদ দিদারের পুত্র মোহাম্মদ সিফাতের সঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিল নাদিয়া সুলতানা জেসি (১৫)। বিকালে বাড়ি ফিরে আত্মহত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলে। জেসি রাউজান উপজেলার উরকিরচর ইউনিয়নের মইশকরম গ্রামের প্রবাসী আবু বক্করের কন্যা। মোহরা এলকে ছিদ্দিকী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। এই ঘটনা ঘটে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায়। রাত নয়টার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানোর জন্য নিয়ে যায়। জানা যায়, মেয়ের আচরণ ও মোবাইল আসক্তিতে বিরক্ত মা তাকে বকাঝকা করে তার কাছ থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়েছিলেন। এতে রাগে–ক্ষোভে জেসি আত্মহত্যা করেছে। তবে আত্মহননকারী স্কুল ছাত্রীর মা কামরুন নেছা সিফাতের সাথে তার মেয়ের প্রেমের সম্পর্কের কথা স্বীকার করে বলেন সকালে ঘর থেকে বের হয়ে যায় জেসি। ফোন করলে সিফাতের সাথে বেড়াতে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে। এই কথা শুনে তিনি ফোন করে তার মেয়েকে বাড়িতে দিয়ে আসতে বলেছিলেন। অনেকক্ষণ অপেক্ষার পর সে বাড়ি ফিরে না আসায় তিনি অভিমান করে বাপের বাড়িতে চলে যান। পরে জানতে পারেন বিকালে জেসিকে বাড়ির সামনে রাস্তায় নামিয়ে দিয়ে সিফাত চলে গেছে। ওই শিক্ষার্থীর মা দাবি করেন, সন্ধ্যায় তিনি এসে ঘরের সামনের দরজা বন্ধ দেখে পিছনের দরজা দিয়ে ঘরে ডুকে তার মেয়েকে ফাঁসিতে ঝুলে থাকতে দেখেন। এ সময় তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে ঘটনা জানালে চেয়ারম্যান বিষয়টি থানা পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে হাজির হয় প্রেমিক সিফাত। তাকে এলাকার লোকজন আটকে রাখে। পরে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায়। ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ আবদুল জব্বার সোহেল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। এ ব্যাপারে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, মেয়েটির মা তার মোবাইল ফোন নিয়ে ফেলায় অভিমানে আত্মহত্যা করেছে বলে জেনেছি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে রাত সাড়ে ৮টায় মরদেহ উদ্ধার করি। প্রেমিকের সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গেলে যেতেও পারে। সে বিষয়ে আমরা নিশ্চিত নই।