সকল নিয়োগ এবং ভর্তি পরীক্ষা বিভাগীয় পদ্ধতিতে চাই

জেসমিন সুলতানা চৌধুরী | মঙ্গলবার , ২৬ অক্টোবর, ২০২১ at ৬:১০ পূর্বাহ্ণ

আগামী ২৯-১০-২১ইং ৪৩ তম বিসিএস প্রিলি। গত ২২ তারিখ ছিল স্ট্যান্ডার্ন্ড ব্যাংকের লিখিত পরীক্ষা, কিন্তু ঢাকায়। (আরো কয়েকটা পরীক্ষা ছিল।) অনলাইনে সাইকোমেট্রিক টেস্ট যারা পাস করেছে শুধু তাদের জন্য। ২৯ তারিখের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অনেকে এই ২২ তারিখের পরীক্ষাটা দিতে পারেনি। কারণ ঢাকায় আসা-যাওয়াতে একদিন চলে যাবে। যারা এই লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি তাদের কতো বড় ক্ষতি হয়ে গেল শুধুমাত্র ঢাকায় হওয়ার কারণে! যদি এ পরীক্ষা বিভাগীয় পদ্ধতিতে হতো তাহলে সুযোগটা হাতছাড়া হতো না। কেউ টিকছেনা আবার কেউ টিকেও নিয়মের বলি হচ্ছে। কখন এ নিয়ম সংস্কার হবে? আর কতোদিন পর কর্তৃপক্ষের ঘুম ভাঙবে? বিসিএস এবং মেডিকেলের পরীক্ষার মতো যদি সমস্ত ভর্তি পরীক্ষা এবং নিয়োগ পরীক্ষা বিভাগীয় পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হতো তাহলে হাত থেকে সুযোগগুলো নষ্ট হতোনা। এর দায় কে নেবে? যে দেশে একটা চাকরি সোনার হরিণ সেদেশে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের গঞঙ পদের প্রিলি পাস করে রিটেনে বসতে না পারা কতোটা কষ্টের, ভুক্তভোগীরাই শুধু জানে। কারণ যে পরীক্ষাটার জন্য তারা লিখিত পরীক্ষা দিতে গেলোনা সেই পরীক্ষায় আদৌ টিকবে কিনা তা কেউ নিশ্চত নয়। এবার আসুন আরো কিছু নিয়োগ পরীক্ষার কথা জেনে নিই। আগামী ২৯ তারিখ ৪৩ তম প্রিলি হবে বিভাগীয় শহরে। কিন্তু ঢাকায় বিকেলে অনুষ্ঠিত হবে আরো কিছু নিয়োগ পরীক্ষা সরকারী এবং বেসরকারী। বিভাগীয় পদ্ধতিতে এ পরীক্ষা সকালে দিয়ে বিকালে ঢাকায় গিয়ে অন্যান্য পরীক্ষা দেয়া আদৌ সম্ভব কিনা? এ সমন্বয়হীনতার কারণে ক্ষতিটা কার হচ্ছে? যেখানে তরুণদের একটা দেশের সম্পদ ভাবা হয় সেখানে তরুণদের কথা ভাবার জন্য কেউ যেন নেই। ধনী পরিবারের সন্তানদের এসব পরীক্ষার কথা ভাবতে হয় না।এসব পরীক্ষার জন্য অপেক্ষায় থাকে মূলত মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানেরা। যারা কয়েকটা টিউশনি করে নিজের পকেট খরচ এবং পড়ালেখার খরচ চালায় তারা। যারা ঘুষ দিয়ে চাকরি কনফার্ম করতে পারেনা তারা। তাদের টিউশনির টাকায় এসব নিয়োগ পরীক্ষার আবেদন করে। অথচ সে পরীক্ষাগুলোতে তারা অংশ নিতে পারছে না। এরচেয়ে প্রহসন, এরচেয়ে বড় তামাশা আর কি হতে পারে? এসব দেখাশুনা করার জন্য কেউ কি আছে এদেশে? যখন এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ হয় মিডিয়া সরব তখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় একটা সান্ত্বনাবাণী শুনিয়ে কাজ শেষ করে। যেন এটুকুই তাদের কাজ! হায়রে দেশ, হায়রে দুর্ভাগা জাতি!

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি
পরবর্তী নিবন্ধদেশের উন্নয়নে তরুণদের ভূমিকা