চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে কারাবন্দীদের মধ্যে এইচআইভি এইডস প্রতিরোধ, শনাক্তকরণ ও সেবা প্রদানে ভবিষ্যত করণীয় কর্মসূচি সম্পর্কে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবহিতকরণ কর্মশালা গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। কারা উপ-মহাপরিদর্শক এ.কে.এম ফজলুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমবিডিসি) ও লাইন ডাইরেক্টর (টিবিএল ওএইডস-এসটিডি প্রোগ্রাম) অধ্যাপক ডা. মো. শামিউল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর। রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা কারা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্ণেল মো. আবরার হোসেন, চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম খান। কর্মশালায় কারাগারের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
বক্তারা বলেন, এইচআইভিএকটি ভাইরাস যা শুধু মানুষের শরীরে সংক্রমিত হয়। এইডস ও এইচআইভি সৃষ্ট কতগুলো রোগের লক্ষণ এবং এটা মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হয়। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে অনেক লোক মারা যাচ্ছে। হেপাটাইটিস-বি যেভাবে ছড়ায়, এইডসও সেভাবে ছড়ায়। ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে ড্রাগ নিলে এ রোগ মারাত্বকভাবে ছড়ায়। কারাবন্দীদের মাঝে কারো শরীরে এইচআইভি ভাইরাস আছে কি না তা একমাত্র রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমেই জানা সম্ভব। সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া এইডস নির্মূল করা সম্ভব নয়। এটি প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোকে আরো আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। এইডস প্রতিরোধে সর্বত্র ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রেখে জনগণকে সচেতন করতে হবে। বাঁচতে হলে জানতে হবে, জানতে হলে বুঝতে হবে। এইডস নিয়ন্ত্রণে থাকলে সুস্থ ও সুন্দর জাতি গঠন সম্ভব। আমরা এইডসমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই।