সংস্কার দ্রুত শেষ হোক, নির্বাচিত সংসদ দিয়ে দেশ চলবে : ফখরুল

| শুক্রবার , ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ at ৭:০৮ পূর্বাহ্ণ

অন্তর্র্বর্তী সরকার যেসব সংস্কারের কথা বলেছে, সেগুলো দ্রুত শেষ হবে এবং জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি দিয়ে গঠিত সংসদ দেশ চালাবে বলে আশা করছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার বিএনপির পক্ষ থেকে দলটির বক্তব্য তুলে ধরেন তিনি। খবর বিডিনিউজের।

প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে বেশ কিছু বিষয়ে সংস্কারের জন্য কমিশন গঠন ও সেই কমিশনে কারা দায়িত্ব পালন করবেন, সেই নামগুলোও তুলে ধরেছেন। ফখরুল বলেন, সংস্কারের কথা আমরা সবাই বলেছি, সংস্কার প্রয়োজন। গণতান্ত্রিক অধিকার একেবারে ধ্বংস করে ফেলেছিল। সেক্ষেত্রে অতি দ্রুত যেন এই সংস্কারের কাজগুলো শেষ করা হয়। মূল যে বিষয়টা রয়েছে গণতন্ত্রের জন্যজনগণের প্রতিনিধিদের শাসন, জনগণের পরিচালনায় তাদের নির্বাচিত পার্লামেন্ট দিয়ে দেশ চলবে, সেই বিষয়টা যেন অবশ্যই খুব দ্রুততার সঙ্গে সমাপ্ত হয়, সেটাই আমাদের প্রত্যাশা থাকবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাফল্য কামনা করে বিএনপি নেতা বলেন, আমরা মনে করি যে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ করছে, এই কাজ করার জন্য তাদেরকে সময়সুযোগ সবই দেওয়ার জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা আশা করি যে, তারা যথা শিগগিরই সম্ভব স্বল্প সময়ের মধ্যে এই কাজগুলো (সংস্কার) শেষ করে নির্বাচনের দিকে যাবেন।

তুমুল গণআন্দোলনের মধ্যে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটলে তিন দিন পর সংবিধান মেনে চলার অঙ্গীকার করে শপথ নেয় ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্র্বর্তী সরকার। সংবিধান অনুযায়ী সংসদ ভেঙে দেওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে, দৈব দুর্বিপাকে সেটা করা না গেলে আরও ৯০ দিন সময় বাড়ানো যাবে। তবে অন্তর্র্বর্তী সরকার নির্বাচনের কোনো সময়সীমা ঘোষণা করেনি। আগস্টের শেষে মির্জা ফখরুল একাধিক আয়োজনে নির্বাচনের রোডম্যাপ দাবি করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, কয়েকজন ব্যক্তির সংস্কারে তাদের বিশ্বাস নেই।

ফখরুল বলেন, এই সরকার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এসেছে। আমরা আশা করব, তারা জনগণের আশাআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাবে। একটি কথা স্পষ্টভাবে বলা প্রয়োজন, গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নাই। গণতন্ত্র হচ্ছে একমাত্র ব্যবস্থা যা জনগণের আশাআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পারে। সেজন্যই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে তৈরি করা হচ্ছে আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। কিন্তু সেই কাজটাতে জনগণের সম্পৃক্ততা থাকতে হবে, জনগণ কী চায়, জনগণ কীভাবে জিনিসটা দেখতে চায়, সেই বিষয়টা থাকতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআরজি কর কাণ্ড : ‘পদত্যাগ করতে রাজি আছি’ বললেন মমতা
পরবর্তী নিবন্ধঅন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে জামায়াত