সংস্কার ও নির্বাচনী রোডম্যাপ হলে সংশয় কেটে যাবে : জামায়াত

যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল তা কিছুটা কমেছে

আজাদী ডেস্ক | রবিবার , ২৫ মে, ২০২৫ at ৭:৩১ পূর্বাহ্ণ

রাজনৈতিক অঙ্গনে গত কয়েকদিনে হঠাৎ যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল তা প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পর কিছুটা কমেছে বলে মনে করছে জামায়াতে ইসলামী। গতকাল শনিবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে দলটির আমির শফিকুর রহমান সাংবাদিকদের প্রশ্নে এমন মন্তব্য করেন।

প্রায় এক ঘণ্টার বৈঠক শেষে রাত সাড়ে ৯টার দিকে সাংবাদিকদের সামনে আসেন শফিকুর রহমান। বলেন, দুটো রোডম্যাপ হলে বাকি সমস্যারও সমাধান হয়ে যাবে। দুটো রোডম্যাপ (পথনকশা) বলতে সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপের কথা তুলে ধরেন দলটির আমির। তবে সংস্কারের আগে নির্বাচন করা হলে তাতে জনগণের আশা পূরণ হবে না বলে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টার এ বৈঠকে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছে জামায়াতে ইসলামীর দুই নেতা। খবর বিডিনিউজের।

দলটির আমিরের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। হঠাৎ করে এ বৈঠকের প্রেক্ষাপটের কথা তুলে ধরতে গিয়ে জামায়াতের আমির বলেন, গত কয়েকদিন ধরে দেশে একটা অস্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা জাতিকে একটা মেসেজ দিতে চেয়েছিলেন। তিনি সেটা দেননি, কিন্তু এই কথাটা খুব দ্রুত সমাজে ছড়িয়ে পড়ে। সমাজে একটা অনিশ্চয়তা, আতঙ্ক দেখা দেয়। একই সময়ে একজন রাজনৈতিক নেতা তার জনপ্রতিনিধিত্বের দাবি নিয়ে অবস্থান নিয়েছিলেন। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আরেকটি গ্রুপ অবস্থান নিয়েছিল। এসব কিছু প্রধান উপদেষ্টার জন্য কিছুটা কষ্টের, কিছুটা বিরক্তির ছিল। যার কারণে তিনি তার দায়িত্বের ব্যাপারে পুনর্বিবেচনা করবেন বলে একটা অভিমান প্রকাশ করেছিলেন।

তিনি বলেন, জনগণের কোনো ভোগান্তি না হয়ে একটি সুবিধাজনক সময়ে নির্বাচন হতে হবে। নির্বাচনের আগে বিচার ও সংস্কারের দৃশমান বিষয় জনগণের সামনে আসতে হবে। তিনি বলেন, আমরা বলেছি, দুইটি বিষয় স্পষ্ট করা দরকার, একটি হলো নির্বাচন কখন হবে আর আরেকটি হলো নির্বাচনের আগে অবশ্যই সংস্কার এবং বিচারের কিছু প্রক্রিয়া জনগণের সামনে আসতে হবে। সংস্কার শেষ করে নির্বাচন না হলে জনগণ তাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে না বলে আমরা মনে করি। আবার সব সংস্কার এখন করা সম্ভব না। মাত্র পাঁচটা সুনির্দিষ্ট বিষয়ে তারা হাত দিয়েছেন। এতটুকু নিষ্পত্তি করা দরকার সন্তোষজনকভাবে।

তাদের পক্ষ থেকে নির্বাচনের সময় বেঁধে না দেওয়ার কথা তুলে ধরে শফিকুর বলেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারির মধ্যে হতে পারে বলে তারা মনে করেন। এরপর রোজা। তখন ভোট করার পরিবেশ থাকবে না। এরপর সময় টেনে লম্বা করার দরকার নেই।

জামায়াত আমির বলেন, তারা কারও পদত্যাগও চাননি। এই সরকার আমাদের সবার। আমাদেরকে এই সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। দেশ আমাদের সবার, দেশ ভালো থাকলে আমরা ভালো থাকব। এখন যারা সরকারে আছেন, তাদের পরিচয় হচ্ছে তারা কোনো দলের প্রতিনিধিত্ব করবেন না। এখানে কিছুটা ব্যতিক্রম ঘটেছে। এটা মাঝেমধ্যে সমাজকে উদ্বিগ্ন করে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকোনো দল নয়, জনগণের প্রতি প্রতিশ্রতিবদ্ধ হতে আহ্বান এনসিপির
পরবর্তী নিবন্ধদুই ছাত্র উপদেষ্টা ও নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি বিএনপির