জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের জন্য জনগণের রায় নেওয়ার জন্য সংসদ নির্বাচনের দিনে আলাদা ব্যালটের কথা বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, আজ (গতকাল) জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ার একটা ফাইনাল স্টেজে আমরা আছি। সর্বশেষ যে রিকমেন্ডেশন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠানো হবে, সেই বিষয়ে আমরা একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারি। এ বিষয়ে আজকের আলোচনার মধ্য দিয়ে মোটামুটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দিকে মনে হয় আমরা এগোতে পেরেছি। খবর বিডিনিউজের।
তিনি বলেন, গণভোটের যে প্রশ্ন এসেছে, এটা মূলত আমাদের বিগত সভার প্রস্তাবের মধ্যে আমি একটা ইঙ্গিত দিয়েছিলাম। জনগণের কাছে আমরা যাই, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে জনগণের সম্মতি আছে কিনা? আমরা সব রাজনৈতিক দল মিলে সমগ্র জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করি কিনা, এটা একটা প্রশ্ন।
তিনি বলেন, সমগ্র জনগণের কাছে আমরা যদি এই সম্মতিটা নিই যে, আমরা রাজনৈতিক দলগুলো এভাবে জুলাই জাতীয় সনদে সই করেছি; জনগণ তার পক্ষে আছে কিনা। তখনই হবে জনগণের পক্ষ থেকে এই জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের জন্য একটা চূড়ান্ত অভিমত; সার্বভৌম ক্ষমতার একটা রায়।
সালাহউদ্দিন বলেন, জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে সব সংসদ সদস্য বাধ্য থাকবেন, যদি জনগণ তার পক্ষে রায় দেয়। সেজন্য সংসদ নির্বাচনের দিনে আমরা আলাদা ব্যালটের মাধ্যমে জুলাই সনদের বিষয়ে জনরায় নেওয়ার কথা বলেছি। এই গণভোট আয়োজনে আমাদেরকে কনস্টিটিউশনের কোনো সংশোধনী আগেই আনতে হবে না। জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট করতে তো মানা নাই। সেজন্য আমরা বলেছি, একটা অধ্যাদেশ জারি করা যেতে পারে, যেন ইলেকশন কমিশন এই গণভোট পরিচালনা করতে পারে। সেই অর্ডিনান্সের নাম হতে পারে, জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ বাস্তবায়নের জন্য অধ্যাদেশ বা বাস্তবায়ন অধ্যাদেশ।
তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনে আলাদা ব্যালটের বিষয়টি অধ্যাদেশে থাকবে। আর জুলাই সনদটা জনগণের সামনে উন্মুক্ত থাকবে; ওয়েবসাইটে যাবে। সব রাজনৈতিক দলের নির্বাচন ইশতেহারে থাকবে। যেটা সই হবে সরকার সেটা প্রকাশ করবে। নির্বাচন কমিশনও সেটা প্রকাশ করতে পারে। তখন জনগণ বুঝবে, এই জুলাই জাতীয় সনদ তারা গ্রহণ করবে কি করবে না।
সাংবিধানিক আদেশ জারি করার ক্ষমতার জন্য এই সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি মন্তব্য করে তিনি বলেন, আর্টিকেল ১০৬ অনুসারে এই সরকার গঠিত হয়েছে, সরকার পরিচালনার জন্য এবং বিদ্যমান সংবিধান অনুসারে রাষ্ট্র পরিচালনের জন্য। এখন সাংবিধানিক ক্ষমতা কার থাকে? থাকে জনগণের। সেই জনগণ যখন একটা সার্বভৌম অধিকার বলে গণপরিষদ গঠন করে, তখন তাদের পাওয়ার থাকে।