সংসদ নির্বাচনের জন্য কেনা হচ্ছে ৩০০ গাড়ি

সাংবাদিকদের জানালেন অর্থ উপদেষ্টা চট্টগ্রাম বন্দরে জব্দ এমপিদের গাড়ি পরিবহন পুলে যোগ করার নির্দেশ

| বুধবার , ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ at ১২:০৮ অপরাহ্ণ

ত্রয়োদশ সংসদের মন্ত্রীদের জন্য ৬০টি গাড়ি কেনার খবর নাকচ করলেও আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ৩০০টি গাড়ি কেনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। সচিবালয়ে গতকাল মঙ্গলবার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

ত্রয়োদশ সংসদের মন্ত্রীদের জন্য গাড়ি কেনার একটি খবর সমপ্রতি সংবাদমাধ্যমে আসে। এ প্রসঙ্গে এদিন সাংবাদিকরা জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, এটা আপনারা কোথায় পেলেন? আমাকে নাকি উদ্ধৃত করা হয়েছে; আমি নাকি অনুমোদন করেছি; প্রশ্নেই আসে না। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব গিয়েছিল। আমি তো সেটা বন্ধ করে দিয়েছি। খবর বিডিনিউজের।

এ ধরনের খবর প্রকাশের কারণে বিরক্তি প্রকাশ করে উপদেষ্টা বলেন, আপনারা না জেনে প্রশ্ন করবেন না; এটা ঠিক না। জনপ্রশাসন থেকে এসেছিল নির্বাচনের জন্য ফিল্ড লেবেলে কিছু গাড়ির জন্য। ইলেকশনের সময় ভাঙা গাড়ি নিয়ে বাইরে গেলে তো দুই মাইল পর সেই গাড়ি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সেটা তো আমরা এলাও করব না। সঠিক সংখ্যাটা মনে নেই। প্রায় ৩০০টা গাড়ি আমরা অনুমোদন দিয়েছি। ওই ৬০টা গাড়ির বিষয় নয়।

তবে চট্টগ্রাম বন্দরে সংসদ সদস্যদের জন্য আসা কিছু শুল্কমুক্ত গাড়ি জব্দ করা হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, সেগুলো আমরা পরিবহন পুলের জন্য নিলামের ভিত্তিতে কিনে নিতে বলেছি। চট্টগ্রাম বন্দরে শুল্কমুক্ত ৬০টি গাড়ি কিন্তু সিজ করা হয়েছে। সেগুলো বেশ দামি গাড়ি। এমপিদের ৩০ থেকে ৪০টি গাড়ি সেখানে রয়েছে। একেকটা পাঁচ থেকে ছয় কোটি টাকা। সেগুলো যখন এনবিআর অকশন করতে গেছে, দাম উঠেছে ১০ লাখ টাকা করে। আমি এনবিআর চেয়ারম্যানকে বলেছি, এগুলো বিক্রি করার দরকার নেই। এগুলো পরিবহন পুলে যোগ করে দিতে বলেছি।

নির্বাচনের জন্য কী ধরনের গাড়ি কেনা হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছু ইউটিলিটি গাড়ি রয়েছে, আর কিছু মাইক্রো বাস রয়েছে। মূলত ইউএনও এবং এসিল্যান্ডের জন্য গাড়িগুলো কেনা হয়েছে।

সমপ্রতি জাপান সফর সম্পর্কে উপদেষ্টা বলেন, জাপান আমাদের সবচেয়ে বড় দাতা দেশ। জাপানের সঙ্গে মেট্রোরেলসহ অনেকগুলো প্রকল্প চলমান। সেখানে জাইকা ও এডিবির সঙ্গে কথা বলেছি। জাপানের অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। ট্রেড অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি মিনিস্টারের সঙ্গে কথা হয়েছে। জাপানের সঙ্গে ইপিএ বা ইকনোমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট করার বিষয়ে আলাপ হয়েছে। জাপানের দিক থেকে ওরা খুবই আগ্রহী।

প্রধান উপদেষ্টা জাপানে এক লাখ লোক পাঠানোর বিষয়ে বলেছেন। সেই বিষয়েও সফরে আলোচনা হয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, জাপানের শর্ত হচ্ছে ভাষাটা। জাপানে এগ্রো প্রসেসিং খাতে লোক নেবে। কোনো দালালের মাধ্যমে নয়; ওরা সরাসরি নেবে। নেপাল আড়াই লাখ লোক পাঠিয়েছে। আমাদের এখানে স্লো। এর কারণ হচ্ছে আমাদের ট্রেনিংটা স্লো। জাপানিজ ভাষাটা জানলেই সেখানে চাকরি পাবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআজ বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস
পরবর্তী নিবন্ধ১৬ বছর বয়সীরা এনআইডি পাবেন : ইসি সচিব