সংসদের ইতিহাসে প্রথম বিশেষ অধিবেশন শুরু

বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই যাত্রা

| সোমবার , ৯ নভেম্বর, ২০২০ at ৫:৪৭ পূর্বাহ্ণ

স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে জনগণের প্রতিনিধিত্বে সর্বোচ্চ ফোরাম জাতীয় সংসদের যাত্রা শুরু হয়েছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে। তিনিই জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে জিতে হয়েছিলেন দেশের প্রথম সংসদ নেতা। সেই পথে ধরে জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকীতে বসেছে একাদশ সংসদের বিশেষ অধিবেশন। উদ্দেশ্য, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সেই অবিসংবাদিত নেতাকে স্মরণ করা।
দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ‘বিশেষ অধিবেশনে’ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ পালনের যখন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তখন সংসদ নেতা বঙ্গবন্ধুরই মেয়ে শেখ হাসিনা। বাবার হাত ধরে যার রাজনীতিতে আসা, তিনি এখন প্রধানমন্ত্রী। দেশের ইতিহাসে সংসদের প্রথম বিশেষ অধিবেশন শুরু হয় গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হয়। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হয় একাদশ সংসদের এই দশম অধিবেশন। খবর বিডিনিউজের।
এটি বিশেষ অধিবেশন হলেও এর প্রথম কার্যদিবস চলে সাধারণ অধিবেশনের মতো। অধ্যাদেশ উপস্থাপন, কয়েকটি খসড়া আইন ও বিলের প্রতিবেদন উপস্থাপনের জন্য এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অধিবেশন শুরুর পর স্পিকার সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মনোনয়ন দেন। স্পিকার-ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে এদের মধ্যে অগ্রবর্তীজন অধিবেশনে সভাপতিত্ব করবেন।
আজ সোমবার রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের স্মারক বক্তৃতার মাধ্যমে শুরু হবে বিশেষ অধিবেশনের কার্যক্রম। রাষ্ট্রপতির বক্তৃতার আগে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ভাষণ সংসদ কক্ষে দেখানো হবে। বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য ও কর্মময় রাজনৈতিক জীবন নিয়ে রাষ্ট্রপতির স্মারক বক্তৃতার পর তা নিয়ে আলোচনার জন্য একটি সাধারণ প্রস্তাব আনা হবে। ওই প্রস্তাবের ওপর সরকার ও বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যদের আলোচনা শেষে তা পাস হবে।
অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী জানান, রাষ্ট্রপতির বক্তৃতার পরে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর জীবন নিয়ে আলোচনা হবে। সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এরপর আগামী সপ্তাহে দুই বা তিন দিন সাধারণ বৈঠক চলার মাধ্যমে অধিবেশনটি শেষ হতে পারে। অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার সংসদ কক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি স্থাপনের বিষয়টি অবহিত করেন।
করোনা মহামারীকালের আগের তিনটি অধিবেশনের মতো এবারও সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ অধিবেশনের কার্যক্রম চলবে।
বঙ্গবন্ধু সংসদের প্রথম নেতা : দেশের প্রথম সংসদের অধিবেশন বসেছিল ১৯৭৩ সালের ৭ এপ্রিল। পাঁচ বছর মেয়াদ হলেও ৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যার পর নানা পটপরিবর্তনে সেই সংসদ টিকে থাকে ১৯৭৫ সালের ২ নভেম্বর পর্যন্ত।
প্রথম সংসদের প্রথম বৈঠকের দিন স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচনের পর তাদের অভিনন্দন জানাতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু বলেন, আমরা যে ইতিহাস সৃষ্টি করেছি, সে ইতিহাসে যেন খুঁত না তাকে। দুনিয়ার পার্লামেন্টারি কনভেনশনে যেসব নীতিমালা আছে, সেগুলো আমরা মেনে চলতে চাই। সঙ্গে সঙ্গে যেন এমন একটি পার্লামেন্টারি প্রসিডিওর ফলো করতে পারি, যাতে দুনিয়া আমাদের কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধউপজেলা পরিষদ এসোসিয়েশন চট্টগ্রাম জেলার মতবিনিময়
পরবর্তী নিবন্ধমুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালনকল্পে স্মৃতিসমূহ সংরক্ষণ অপরিহার্য