সংবিধান সংশোধন বা পরিবর্তনের একমাত্র স্থান সংসদ : খসরু

| শুক্রবার , ৭ নভেম্বর, ২০২৫ at ৫:৩১ পূর্বাহ্ণ

সংবিধান সংশোধন বা পরিবর্তনের একমাত্র স্থান হলো সংসদ। সংসদে প্রস্তাব পাস না করে সংবিধানে কোনো পরিবর্তন আনার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার এই সংবিধান মেনেই শপথ নিয়েছেতাই সমাধানও সংবিধানের মধ্যেই খুঁজতে হবে, এর বাইরে নয়। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে গণফোরামের উদ্যোগে ‘বাংলাদেশের সংবিধান ও সংস্কার প্রস্তাব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। খবর বাংলানিউজের।

আমীর খসরু বলেন, সংবিধান গঠন বা সংশোধনের বিষয়টি মূলত সংসদের। সংসদের বাইরে আলোচনা বা মতামত দেওয়া যেতে পারে, কিন্তু কোনো পরিবর্তন আনতে হলে তা সংসদের মাধ্যমেই করতে হবে। সংসদে প্রস্তাব, পাস না করে সংবিধান পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সংবিধান অনুযায়ী শপথ নিয়েছে। অর্থাৎ বর্তমান সংবিধানই কার্যকর ও বলবৎ। তাহলে সমাধানও এই সংবিধানের মধ্যেই খুঁজতে হবে। এর বাইরে গিয়ে কোনো পরিবর্তন বা সংশোধনের কারো অধিকার নেই।

গণভোট প্রসঙ্গে খসরু বলেন, বর্তমান সংবিধানে গণভোটের কোনো বিধান নেই। কেউ গণভোট করতে চাইলে আগে সংবিধান সংশোধন করে তা যুক্ত করতে হবেআর সে কাজ করতে হয় সংসদে। জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া এটি সম্ভব নয়। বিএনপি গণভোটের প্রস্তাব দিলেও সেটি সাংবিধানিক বা নৈতিকভাবে সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি। খসরু বলেন, রাজনৈতিক সহনশীলতা থেকে বিএনপি প্রস্তাবটি দিলেও এটি ভুল ছিল, কারণ এতে জটিলতা বেড়েছে। এখন কেন এত তাড়াহুড়ো করে গণভোটের কথা তোলা হচ্ছে? আইন ভঙ্গ করে, সংবিধানের বাইরে গিয়ে, গণতন্ত্রকে পাশ কাটিয়ে এর পেছনে উদ্দেশ্য কী? যারা ঐক্যমত্য কমিশনের নামে নতুন দাবি তুলছে, তারা গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি নয়, জনগণের মালিকানায় বিশ্বাস করে না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আরও বলেন, বিএনপি নেতা বলেন, আমাদের উচিত ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। গণতন্ত্র মানে নিয়মিত নির্বাচনএর বাইরের কোনো প্রক্রিয়া গণতন্ত্র নয়। ঢাকায় বসে যারা নিজেদের পছন্দমতো বাংলাদেশ বানাতে চায়, তাদের সঙ্গে শেখ হাসিনার শাসনের কোনো পার্থক্য নেই।

আমীর খসরু সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা দুই বছর আগে শেখ হাসিনার সময়েই ৩১ দফা সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। আজ যারা সংস্কারের কথা বলছে, আমরা তাদের আগে বলেছি এবং জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে তা বাস্তবায়ন করব। ঐক্যমত্য কমিশনের মূল উদ্দেশ্য ছিল রাজনৈতিক ঐক্য সৃষ্টি করা, কোনো গোষ্ঠীর মত চাপিয়ে দেওয়া নয়। কিন্তু এখন ঐকমত্য না থাকলেও নতুন প্রস্তাব আনা হচ্ছেএটি জনগণের সঙ্গে প্রতারণা।

সভায় গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন। প্রধান অতিথি ছিলেন গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমসহ অনেকে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসোনাদিয়া দ্বীপ ফিরে পাবে হারানো গৌরব
পরবর্তী নিবন্ধজীবনের শুরু থেকে লক্ষ্য স্থির করে এগিয়ে যেতে হবে