দেশের ঝুঁকিপূর্ণ পেশার একটি হল সাংবাদিকতা। অন্য পেশাজীবীদের চেয়ে গণ মাধ্যম কর্মীদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করা অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। হত্যা, ধর্ষণ, লুটতরাজ, সড়ক দুর্ঘটনা, মৃত্যু,অপমৃত্য, সন্ত্রাসী হামলা, রাজনৈতিক অস্থিরতা, চোরাচালান, মাদক সহ আন্ডার ওয়ার্ল্ডের খবরাখবর জনগণের কাছে পৌঁছে দেয় গণ মাধ্যম কর্মীরা। দেশের তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো তাদের বাৎসরিক রিপোর্টে যে তথ্য প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করে তার পিছনে গণমাধ্যম কর্মীদের ভূমিকা অপরিসীম। শুধু তাই নয়, দুর্নীতির তথ্য সংগ্রহ করে প্রকাশ করে গণমাধ্যম কর্মীরা দুর্নীতি হ্রাসে ব্যাপক অবদান রাখছে। এছাড়া রাজনীতির কৌশল, অপকৌশল, ভুল নীতি, ভুল সিদ্ধান্তের বিচার বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যা করে সঠিক পথ প্রদর্শনের করার মত অহরহ উদাহরণ বাংলাদেশের সংবাদ ইতিহাসে রয়েছে। দেশের উন্নয়নে সংবাদ কর্মীরা যেমন অবদান রেখে চলেছে তেমনি উন্নয়নের প্রতিবন্ধকতা সমূহ দূরীকরণে সংবাদ কর্মীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এদের অনেকেই সন্ত্রাসী হামলা ও গুপ্ত হত্যার শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। কেউ কেউ আহতও হয়েছেন। অথচ এই জনকল্যাণকর পেশায় দায়িত্বরত সংবাদ কর্মীদের পেশার গুরুত্ব বিবেচনায় বিশেষ কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা এখনো গ্রহণ করা যায়নি।সাগর রুনি সহ শত শত সাংবাদিকের মৃত্যুর পরও বিষয়টি এখনো অবহেলিত।দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক সময় অনেক সংবাদ কর্মী হুমকির সম্মুখীন হয়। প্রকাশিত সংবাদের কারণে প্রতিপক্ষের রক্তচক্ষু সব সময় তাড়া করে বেড়ায় সংবাদ কর্মীদের।এই সব রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে অনেক নির্ভীক সংবাদ কর্মী এখনো সাহসিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এসব নির্ভীক সংবাদ কর্মীরা যাতে ভবিষ্যতে নির্বিঘ্নে দায়িত্ব পালন করে যেতে পারেন সে জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া একান্ত আবশ্যক।
শাহ নেওয়াজ, বন্দর, চট্টগ্রাম