ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ ঘিরে শনিবারের সংঘর্ষের ঘটনায় রাজধানীর বিভিন্ন থানায় মামলা হয়েছে ৩৬টি। আর এসব মামলায় দেড় হাজারের বেশি মানুষকে আসামি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এসব মামলার মধ্যে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় রমনা মডেল থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সব মিলিয়ে ৯৫২ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। খবর বিডিনিউজের। ঢাকার শাহজাহানপুর, পল্টন, মতিঝিল, রমনাসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় এসব মামলা দায়ের হয়েছে বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার কে এন রায় নিয়তি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গত ২৮ অক্টোবর আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সহিংসতার ঘটনায় ৩৬টি মামলা হয়েছে। আর এজাহারভুক্ত আসামির সংখ্যা ১ হাজার ৫৪৪ জন। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামিও রয়েছেন অনেকে। শনিবারের সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৬৯৬ জনকে আর পরদিন হরতালের দিন ২৫৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পল্টন থানার ওসি মো. সালাউদ্দিন বলেন, পুলিশ হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি হলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসসহ ১৬৪ জন। বিভিন্ন স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ, জানমালের ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগে শাহজাহানপুর থানায় ছয়টি মামলা হয়েছে বলে ওসি হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন। এ থানায় একটি মামলায় আসামির তালিকায় মির্জা আব্বাসসহ ৫০ জনের নাম আছে। এছাড়া অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৭০০ থেকে ৮০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরের আগে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শুরুর পর কাছেই কাকরাইল মোড়ে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের এলাকায়। শান্তিনগর, নয়াপল্টন, বিজয়নগর, ফকিরাপুল, আরামবাগ এবং দৈনিক বাংলা মোড় এলাকা রণক্ষেত্রে রূপ নেয়। সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশ বঙে আগুন দেওয়া হয়। পুলিশ হাসপাতালে ঢুকে একটি অ্যাম্বুলেন্স পোড়ানো হয়, ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ করা হয় আরো ডজনখানেক যানবাহন। হামলা করা হয় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে। দৈনিক বাংলা মোড়ে পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।