নারায়ণগঞ্জের একটি ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড সদস্য পদে ভোটের পর সংঘর্ষের মধ্যে গুলিতে এক যুবকের প্রাণ গেছে। গতকাল শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। খবর বিডিনিউজের।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মোহসীন জানান, ওয়ার্ড সদস্য পদে উপনির্বাচনের ফল ঘোষণার পর দুধঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে সংঘাতে জড়ায় দুই প্রার্থীর সমর্থকরা। তাতে একজন নিহত হওয়ার পাশাপাশি পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হন।
নিহত মো. হৃদয় ভূঁইয়া (২৪) উপজেলার দুধঘাটা গ্রামের আমির আলী ভূঁইয়ার ছেলে। তার চাচাতো ভাই ওমর ফারুক ভূঁইয়াও (৩৫) গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
উপজেলার পিরোজপুর ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য মজিবুর রহমান গত বছরের ২০ মে মারা যান। ফলে তার পদটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। এ পদে গতকাল উপনির্বাচন হয়। এতে কায়সার আহমেদ রাজু ও আজিজুর রহমান নামে দুজন প্রার্থী ছিলেন।
পুলিশ জানায়, নির্বাচনের ফল ঘোষণায় আজিজুর রহমানকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এরপর দুই পক্ষের কর্মী–সমর্থকরা আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় ধারালো অস্ত্র, লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। তারা পুলিশের ওপরও হামলা চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে বলে পরিদর্শক মোহসীনের ভাষ্য।
নিহত হৃদয়ের বড় ভাই জহিরুল ইসলাম বলেন, তারা কায়সার আহমেদ রাজুর সমর্থক। ফলাফল ঘোষণার আগে কেন্দ্রের বাইরে তারা অপেক্ষা করছিলেন। ফল ঘোষণার পরপরই আজিজুর রহমান তার লোকজন নিয়ে হামলা চালান।
সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই হৃদয়ের মৃত্যু হয়। সংঘর্ষে আহত অন্তত ১১ পুলিশ সদস্য তাদের হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানান ওই চিকিৎসক।