গতকাল সংঘর্ষের পর বিএনপির কার্যালয় থেকে দেড়শ বস্তা চাল ও বিপুল পরিমাণ পানির বোতল উদ্ধারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত পাঁচ ঘণ্টার অভিযান শেষে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুণ অর রশিদ বলেন, তারা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে একটি কভার্ডভ্যান থেকে ১৬০ বস্তা চাল উদ্ধার করেন, যা বিএনপি কার্যালয়ে নেওয়ার জন্য আনা হয়েছিল। এছাড়া কার্যালয়ের ভেতরে প্রায় পৌনে ৩ লাখ পানির বোতল পাওয়া যায়। এই পানির বোতল বিএনপির কার্যালয়ের ভেতরে পাওয়া গেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তিনি বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর সমাবেশকে কেন্দ্র করে তারা এসব মজুদ করেছিল। সমাবেশকে সামনে রেখে তারা আজই বিএনপি অফিসের সামনে বসে পড়ার পরিকল্পনা নিয়েছিল এবং বসে পড়েছিল।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ইতোপূর্বে বলেছিলেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপি ২০ লাখের মতো নেতা-কর্মীকে ঢাকায় আনার পরিকল্পনা নিয়েছে, সেজন্য তারা দলীয় কার্যালয়ে চাল-ডাল মজুদ করেছে। পুলিশ কর্মকর্তা হারুণ বলেন, সংঘর্ষের পর বিএনপি কার্যালয়ে তল্লাশি চালিয়ে ১৫টি বোমা পেয়েছেন তারা। পরে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল এসে তিন দফায় তা ফুটিয়ে নিষ্ক্রিয় করে।
ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলছেন, বিএনপি কার্যালয় থেকে পুলিশকে লক্ষ করে বোমা ছোড়া হয়েছিল। এরপরই পুলিশ কার্যালয়ের ভেতরে অভিযান চালায়। নয়া পল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে অভিযানের সময় দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ফটকে আটকে দেয় পুলিশ।
অভিযান শেষে ফাঁকা বিএনপি কার্যালয় : ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ ঘিরে গত কয়েকদিন ধরে সরগরম ছিল বিএনপির কার্যালয়। তবে পুলিশের অভিযানের পর সেই কার্যালয় এখন সুনসান। গতকাল বুধবার রাত ১০টার পর বিএনপির কার্যালয়ে ঢুকে কাউকেই পাওয়া যায়নি।
ভবনের বিভিন্ন তলার মেঝেতে পড়ে ছিল পানির বোতল। কিছু ডাল, পেঁয়াজ ও রসুনও দেখা গেছে। প্রতিটি ফ্লোরের চেয়ার-টেবিল ছিল এলোমেলো, কিছু কক্ষের ফটকও ভাঙা দেখা গেল। রাত ১০টায়ও নয়াপল্টনের সড়কে গাড়ি চলাচল ছিল বন্ধ। আর বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ছিল পুলিশের অবস্থান।