‘সংগীত প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে জ্ঞানের আদান–প্রদান ও মূল্যবোধ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি মানুষের মনকে শুদ্ধ করে, সামাজিক বন্ধনকে দৃঢ় করে এবং জাতীয় ঐক্য গঠনে সহায়তা করে। উৎসব, মিলনমেলা ও আচার–অনুষ্ঠানে সংগীতের ভূমিকা অপরিসীম। সংগীতের মাধ্যমে মানুষ একে অপরের সাথে সংযোগ স্থাপন করে এবং তাদের কৃষ্টি ও ইতিহাসকে সযত্নে লালন করে। তাই বলা যায়, সংগীত মানুষের আত্মার ভাষা, যা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক হিসেবে যুগ যুগ ধরে সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। সংগীত সমাজ ও সংস্কৃতির শক্তিশালী বাহক। সংগীত শিক্ষা মানুষের মন ও মেধার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি সৃজনশীলতা বাড়ায়, শৃঙ্খলা শেখায় এবং মানসিক প্রশান্তি দেয়। একজন সংগীত শিল্পী কেবল সুরের জাদুকরই নন, তিনি সমাজ ও জাতির দিকনির্দেশকও বটে। সংগীত শিল্পীরা তাঁদের কণ্ঠ ও সুরের মাধ্যমে মানুষের মন জাগিয়ে তোলেন, ঐক্য ও প্রেরণা ছড়িয়ে দেন। তাঁদের অবদান জাতির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য গঠনে অপরিসীম ও চিরস্মরণীয়।’
‘রবিরশ্মি’ চট্টগ্রাম শাখার উদ্যোগে গতকাল শুক্রবার বিকাল ৫টায় চট্টগ্রাম থিয়েটার ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত রবীন্দ্র সংগীত সন্ধ্যায় ‘হৃদয় বিমল হোক, প্রাণ সবল হোক’ শিরোনামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা একথা বলেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ‘রবিরশ্মি’ চট্টগ্রাম শাখার আহ্বায়ক রূপম কুমার নাথ। উদ্বোধক ছিলেন প্রাবন্ধিক ড. উজ্জ্বল কুমার দেব। প্রধান অতিথি ছিলেন ড. মোহাম্মদ আনোয়ার সাঈদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন অরূপ রতন চক্রবর্তী, ‘রবিরশ্মি’র প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক মহাদেব ঘোষ।
অনুষ্ঠানে সম্মাননা প্রদান করা হয় গীতধ্বনি সঙ্গীত নিকেতনের প্রতিষ্ঠাতা শিল্পী কিরীটি রণ্জন বড়ুয়া (মরণোত্তর), সংগীতশিক্ষক শিল্পী প্রদীপ দাশকে। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন বাচিকশিল্পী আয়েশা হক শিমু। সংগীতানুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন ‘রবিরশ্মি’ চট্টগ্রাম শাখার শিল্পীবৃন্দ। ছিল নৃত্য পরিবেশনা, যা অনুষ্ঠানে ভিন্নমাত্রা যোগ করে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।