সংখ্যালঘুদের মৃত্যু-ধর্ষণের গল্প ছড়ানো হচ্ছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

| শুক্রবার , ২৯ অক্টোবর, ২০২১ at ৬:৩৮ পূর্বাহ্ণ

সাম্প্রতিক ধর্মীয় সহিংসতায় কেউ ধর্ষিত হয়নি এবং একটি মন্দিরেও অগ্নিসংযোগ বা ধ্বংস করা হয়নি। তবে দেবদেবীর প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর পুনর্র্নিমাণের কথা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পুড়ে যাওয়া দেড় ডজন দরিদ্র ঘর পুনর্র্নিমাণ করা হয়েছে এবং সবাই ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। দুর্ভাগ্যবশত, কিছু উৎসাহী মিডিয়া এবং ব্যক্তি ধর্মীয় সম্প্রীতির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ শেখ হাসিনা সরকারকে বিব্রত করার জন্য মূলত ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর মৃত্যু এবং ধর্ষণের গল্প ছড়াচ্ছে। খবর বাংলানিউজের।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, সাম্প্রতিক ধর্মীয় সহিংসতায় এখন পর্যন্ত মাত্র ৬ জন মারা গেছে। নিহতদের মধ্যে ৪ জন মুসলমান এবং তারা হিন্দুদের বাড়িতে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করার সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হয় এবং ২ জন হিন্দু মারা যায়। একজন সাধারণ মৃত্যু এবং অন্যজন ডুবে মারা যায়। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রতিটি পূজামণ্ডপের জন্য সরকার অর্থ দিয়েছে। বিভিন্ন বাড়িতেও স্বতন্ত্রভাবে পূজামণ্ডপের বিস্তার ঘটেছে। তবে প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা পূজামণ্ডপ পর্যবেক্ষণে জন্য পুলিশ বাহিনীর অপ্রতুলতা রয়েছে। এই ধরনের ঘটনা এড়াতে পূজামণ্ডপ আয়োজকদের উচিত তাদের মণ্ডপগুলোর প্রতি সর্বদা খেয়াল রাখা।
কুমিল্লার ঘটনা নিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, পূজামণ্ডপে কোনো উপাসক বা আয়োজক না থাকা অবস্থায় একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি পবিত্র কোরআনের একটি কপি একজন ডায়েটির (দেবী) পায়ের কাছে রেখে যায় এবং অন্য একজন তার একটি ছবি তুলে সোশ্যালে আপ করে দেয়। মিডিয়া, ফেসবুক যা ক্ষোভের জন্ম দেয়, যা ভাঙচুর এবং লুটপাটের দিকে নিয়ে যায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমহানবীর (সা.) আদর্শে জীবন পরিচালনা করতে হবে
পরবর্তী নিবন্ধচন্দনাইশের পরীক্ষার্থীদের জন্য সিএসএ’র ফ্রি বাস সার্ভিস