সারাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা গত ৪ মে’র পর থেকে ৪৩ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এ নিয়ে মোট ১৩ হাজার ২৮২ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সাথে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তিন হাজার ৯৫৬ জন। যা গত ২৪ এপ্রিলের পর থেকে ৫৫ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ শনাক্ত।
সবমিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৩৭ হাজার ২৪৭ জনে। গতকাল বুধবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৬৭৯ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৭৫২ জন।
সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫১০টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩২টি, জিন এক্সপার্ট ৪৪টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৩৩৪টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ২৩ হাজার ৯৬৭ টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৩ হাজার ৮০৩ টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬২ লাখ ৪২ হাজার ৭৮৬ টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৬২ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৪২ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৬০ জনের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে আটজন করে মোট ১৬ জন, খুলনা বিভাগে ১৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৭ জন, রংপুর বিভাগে চারজন ও সিলেট বিভাগে ছয়জন ও ময়মনসিংহে তিনজন রয়েছেন। তাদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৪৬ জন, বেসরকারি হাসপাতালে নয়জন এবং বাড়িতে পাঁচজন মারা গেছেন। মৃত ব্যক্তিদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ২৩ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৬ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের নিচে সাতজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন ও ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে তিনজন রয়েছেন।