গোপালগঞ্জে ফ্যাসিস্ট ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের হামলা, অগ্নিসংযোগ এবং নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী। গতকাল বৃহস্পতিবার কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে মিছিলটি নগরীর আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের উত্তর গেট থেকে শুরু হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাবের সামনে এসে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
চট্টগ্রাম মহানগরীর ভারপ্রাপ্ত আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ উল্লাহর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন, মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন, মহানগরীর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুস এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. এ কে এম ফজলুল হক। বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাই ছিলো মহান মুক্তিযুদ্ধের উদ্দেশ্য। কিন্তু, দীর্ঘ ৫৪ বছর ধরে ইন্দো–আওয়ামী বয়ান সৃষ্টি করে জাতীয় ঐক্য নষ্ট করা হয়েছে। অবশেষে লগি–বৈঠা তাণ্ডব চালিয়ে ১/১১ অসাংবিধানিক সরকার, ২০০৮ সালে ডিজিটাল কারচুপির অস্বাভাবিক পরিসংখানের নির্বাচন, ২০১৪ সালে ভোটারবিহীন নির্বাচন, ২০১৮ সালে নিশিরাতে ফলাফল তৈরির নির্বাচন আর ২০২৪ সালে আমি–ডামি খেলার নির্বাচন করে ফ্যাসিবাদ অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিল। ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলন ছিলো ফ্যাসিবাদের নির্যাতনে পিষ্ট জনতার স্বতঃস্ফূর্ত বিস্ফোরণ। ১৬ জুলাই শহীদ আবু সাঈদের শাহাদাতের মাধ্যমেই ফ্যাসিবাদের পতন ঘণ্টা বেজে উঠে। একই দিনে চট্টগ্রামে তিনজন এবং ঢাকার রাজপথে দু’জন শাহাদাত বরণ করেন। জাতি যখন জুলাই বিপ্লবের বার্ষিকী পালন করছে ঠিক তখনই গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পতিত স্বৈরাচারের দোসররা হামলা, হত্যাকাণ্ড, অগ্নিসংযোগ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অপপ্রয়াস চালায়। এহেন ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন হামেদ হাসান ইলাহী, আমির হোসাইন, ফারুকে আজম, ইসমাইল, সিসিএর সভাপতি সেলিম জামান, আ ম ম মসরুর হোসাইন, শহিদ ফারুকের পিতা মোহাম্মদ দুলাল প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।