নতুন শিক্ষাক্রম যথাযথভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শিখনকালীন মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনায় যষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির আগের পারদর্শিতার নির্দেশক পরিমার্জন করে নতুন করে প্রণয়ন করেছে এনসিটিবি। এছাড়া অষ্টম ও নবম শ্রেণির জন্যও পারদর্শিতার নির্দেশক প্রণয়ন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
মাউশির চিঠিতে এনসিটিবির প্রস্তুতকৃত বিষয়ভিত্তিক মূল্যায়ন টুলস ও নির্দেশনা অনুসরণ করে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণিতে শিখনকালীন মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজের প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষকে পাঠানো হয়েছে ওই চিঠি। নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন হবে বছরজুড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিখনকালীন মূল্যায়নের মধ্য দিয়ে। এছাড়াও বছর শেষে পরীক্ষার মাধ্যমে হবে সামষ্টিক মূল্যায়ন।
ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞানে শিখনকালীন ৬০ শতাংশ এবং সামষ্টিক মূল্যায়ন হবে ৪০ শতাংশ। এছাড়া জীবন ও জীবিকা, ডিজিটাল প্রযুক্তি, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষা, ধর্ম শিক্ষা এবং শিল্প ও সংস্কৃতি বিষয়ে শিখনকালীন শতভাগ মূল্যায়ন করা হবে।
নবম ও দশম শ্রেণিতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞানে ৫০ শতাংশ শিখনকালীন মূল্যায়ন এবং বাকি ৫০ শতাংশ সামষ্টিক মূল্যায়ন করা হবে। এছাড়া জীবন ও জীবিকা, ডিজিটাল প্রযুক্তি, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষা, ধর্ম শিক্ষা এবং শিল্প ও সংস্কৃতি বিষয়ে শতভাগ মূল্যায়ন করা হবে। দশম শ্রেণি শেষে দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচির উপর পাবলিক পরীক্ষা হবে।