শ্রুতিঅঙ্গনের মহাসমারোহে রবীন্দ্র নজরুল জয়ন্তি উদযাপন

| বৃহস্পতিবার , ২৯ মে, ২০২৫ at ৮:৫৯ পূর্বাহ্ণ

শ্রুতিঅঙ্গন বাংলাদেশ’ এর আয়োজনে রবীন্দ্রনজরুল জয়ন্তি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় চট্টগ্রামের থিয়েটার ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অম্লান নন্দী ও প্রণিতা দেবের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন শ্রুতিঅঙ্গনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রশিক্ষক শিল্পী লিটন দাশ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সভাপতি সুজিত ভট্টাচার্য দোলন ও সহসভাপতি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। তারা শ্রুতিঅঙ্গনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ও প্রধান অতিথি চবি বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও নজরুল গবেষক ড. আনোয়ার সাঈদ বলেন, রবীন্দ্রনাথের সংগীত সৃষ্টির মধ্যে ধ্রুপদের ব্যবহার বেশি লক্ষ্য করা যায়। তাই তাঁর গানে চঞ্চলতার চেয়ে ধীরস্থির ভাবটা বেশি থাকে। রবীন্দ্রনাথ সাধারণ মানুষের কাছে রাগসংগীতের সাধ বোঝার জন্য তাঁর গানে প্রেম, পুজা, প্রকৃতি, ব্রহ্মসংগীত, আধুনিক, দেশাত্মবোধক, গান রচনায় বিভিন্ন রাগের ব্যবহার করেছেন। তাঁর সৃষ্টিকর্ম বিশ্ববাসীর মনে অনন্তকাল ঠাঁই হয়ে থাকবে। অন্যদিকে কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন আরেক বিশ্ময়কর প্রতিভার অধিকারী ও অসামপ্রদায়িকতার কবি। তিনিও ইসলামী, শ্যামা সংগীত, গজল, রাগপ্রধান, ঠুমরী, দাদরা, কাজরী, দেশাত্মবোধক, নারী জাগরণ মূলক, ভাটিয়ালি, বিদ্রোহের গান, প্রেম, পুজা, প্রকৃতি, শিশুতোষ এইভাবে ৩৫ পর্যায়ের প্রায় ৩৫০০ এরও বেশি গান রচনা করে বাঙালির মনে আলোরণ সৃষ্টি করে গেছেন। তাঁদের ছড়া, গান, কবিতা, সাহিত্য ইত্যাদি আমাদের নতুন প্রজন্মের মধ্যে যথাযথ চর্চা অভ্যাস করাতে পারলেই বর্তমান সময়ের বিপদগামী নতুন প্রজন্মদের সত্যিকার মানবিক গুণসম্পন্ন মানুষ তৈরি হতে সাহায্য করবে।

এরপর মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্জলনের মাধ্যমে শ্রুতিঅঙ্গনের ছাত্রছাত্রীরা পরিবেশন করেন। রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী শ্রেয়সী রায়ের পরিচালনায় অভূদয় সংগীত একডেমির শিল্পীরা পরিবেশন করেন রবীন্দ্রনাথের, জাগো জাগো রে জাগো সংগীত, ওই আসনতলে শিল্পী নরেন সাহার পরিচালনায় ‘আন্তর্জাতিক বিশ্বতান’ সংগঠনের শিল্পীরা রবীন্দ্রসংগীত চরণরেখা তব যে পথে দিলে লেখি ও নজরুলের কারার ঐ লোহ কপাট পরিবেশন করেন। শিল্পী হিল্লোল দাশ সুমনের পরিচালনায় রবীন্দ্র ও নজরুলের গানে নৃত্য পরিবেশন করেন, সুরাঙ্গন সংগীত বিদ্যাপীঠ ডান্স একাডেমির শিল্পীরা।

একক রবীন্দ্রনজরুল সংগীত পরিরেশনায় ছিলেন আদ্রিকা দে, তনুশ্রী দত্ত, জয়িতা বড়ুয়া, তুহিন শীল, তৃষা শীল, পূর্ণতা নাথ, নুরেন আমিরা চৌধুরী, উমাইজা রহমান, রাজশ্রী সরকার, সৌহার্দ্য দাশ শীর্ষ, ধ্রুব দত্ত, মাহিরাজ দাশ, গ্রন্থিক দত্ত, ভক্তি বড়ুয়া, মনস্বিতা চৌধুরী, অর্পিতা শীল, পুষ্পিতা শীল, সৈকত দত্ত, বিনয় দাশ, প্রণিতা দেব, অনির্বাণ দত্ত, লিটন দাশ, ঐন্দ্রিলা চৌধুরী, প্রিয়াঙ্কা ভট্টাচার্য, উর্মীতা দাশ, জয়া দত্ত, পৃত্থিস ভট্টাচার্য।

শিল্পী শান্তা গুহের পরিচালনায় ‘সংগীততীথে’র শিল্পীরা সমবেত কন্ঠ রবীন্দ্রনাথের, জয় তব বিচিত্র ও নিশিদিন ভরসা রাখিস গান দুটি পরিবেশন করেন। সর্বশেষ পরিবেশনা নিয়ে মঞ্চে আসেন ঢাকার খ্যাতিমান নজরুল সংগীতশিল্পী বিজন চন্দ্র মিস্ত্রি, তিনি আমার আপনার চেয়ে আপন যে জন, চেওনা সুনয়নাসহ বেশ কয়েকটি রাগপ্রধান নজরুল সংগীত পরিবেশন করেন।

যন্ত্রাংশে ছিলেন, বেহালায়: শ্যামল চন্দ্র দাশ, কিবোর্ডে: নিখিলেশ বড়ুয়া ও ঋক ভট্টাচার্য, অক্টোপ্যাডেঃ রনি চৌধুরী ও সুমন দাশগুপ্ত, বাশীঁতে: প্রাণেশ ভট্টাচার্য, তবলায়: অমর্ত্য চক্রবর্তী ও প্রাত দাশ, রোমেন বিশ্বাস, সুজন ভট্টাচার্য। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিজেকেএস জিম নিয়ে এবার যা শোনা যাচ্ছে
পরবর্তী নিবন্ধসিএসইতে লেনদেন ১৮.৫২ কোটি টাকা