গতকাল ২৯ আগস্ট বিকাল ৫.০০ টায় চট্টগ্রামের থিয়েটার ইনস্টিটিউটে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে নজরুল সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করে শ্রুতিঅঙ্গন বাংলাদেশ । অম্লান নন্দী ও প্রণিতা দেব এর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন শ্রুতিঅঙ্গনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রশিক্ষক শিল্পী লিটন দাশ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সভাপতি সুজিত ভট্টাচার্য দোলন ও সহ–সভাপতি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। তারা শ্রুতিঅঙ্গনের বিগত দিনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ও প্রধান অতিথি (চ.বি) ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ও সিনেট সদস্য ড. সুকান্ত ভট্টাচার্য বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন বিশ্ময়কর প্রতিভার অধিকারী ও অসামপ্রদায়িক চেতনার কবি তিনি ইসলামী, শ্যামাসংগীত, গজল, রাগপ্রধান, ঠুমরী, দাদরা, কাজরী, দেশাত্মবোধক, নারী জাগরণ মূলক, ভাটিয়ালি, বিদ্রোহের গান, প্রেম, পুজা, প্রকৃতি, শিশুতোষ এইভাবে বিভিন্ন পর্যায়ের গান রচনা করে বিশ্বে বাঙালির মনে আলোরন সৃষ্টি করে গেছেন। তাঁর ছড়া,গান, কবিতা, সাহিত্য ইত্যাদি আমাদের নতূন প্রজন্মের মধ্যে যথাযথ চর্চার অভ্যাস করাতে পারলেই বিপথগামী নতুন প্রজন্ম সত্যিকার মানবিক গুণসম্পন্ন হয়ে তৈরি হবে। এরপর পটদীপ রাগে, রাগপ্রধান গান, হে প্রিয় আমারে দিব না ভুলিতে, ইসলামী সংগীত,মসজিদেরি পাশে আমায় কবর দিও ভাই,আমার দেয়া ব্যথা ভোলো, রাগাশ্রয়ী, এসো হে সজল শ্যাম ঘন দেয়া, গানগুলো সমবেত কন্ঠ পরিবেশন করেন,শ্রুতিঅঙ্গনের ছাত্রছাত্রীবৃন্দ। তাদের পরিবেশনা দর্শকের মন ছুঁয়ে যায়। হিল্লোল দাশ সুমনের পরিচালনায় নজরুলের গানে দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন সুরাঙ্গান বিদ্যাপীঠ ডান্স একাডেমির ছাত্রছাত্রীবৃন্দ। একক নজরুল সংগীত পরিবেশন করেন, পলাশ ফুলের গেলাস ভরি,পূর্ণতা নাথ, দুরদীপ বাসিনী, নুরেন আমিরা চৌধুরী, পদ্মার ঢেউরে,মেঘলিনা ঘোষ, তুমি বেনুকা বাজাও প্রকৃতি দাশ।আকাশে আজ ছড়িয়ে দিলাম, লাবনী চৌধুরী,কাবেরী নদী জলে, মাহিরাজ দাশ,নয়ন ভরা জল, সুপ্রিয়া দে,শ্যাম তুমি যদি রাধা হতে শ্যাম, রাজশ্রী চৌধুরী, হে প্রিয় আমারে দেব না ভুলিতে, সৌহার্দ্য দাশ শীর্ষ, শুকনো পাতার নুপুর পায়ে, উমাইজা চৌধুরী, ওরে নীল যমুনার জল, ধ্রুব দত্ত, না মিটিতে সাধ মোর নিশি পোহায়,তুহিন শীল, আমার আপনার চেয়ে আপন যে জন,তিশা শীল,মেঘমল্লার রাগে খেয়াল অঙ্গের, গগনে সঘন চমকিছে দামিনি,মনস্বিতা চৌধুরী,বিদায় সন্ধ্যা আসিল রাগ: মিশ্র ভীমপলশ্রী,পুষ্পিতা শীল,পরাণ প্রিয়ও কেন এলে অবেলায়,নিপা দত্ত,রাগঃ পিলু, আমি চিরতরে দুরে চলে যাব,জয়িতা বড়ুয়া, সুরেও বানী মালা দিয়ে,প্রণিতা দেব,রাগঃ পিলু, বিদায় বেলায় করুণ সুরে,অর্পিতা শীল,মিশ্র জৈনপুরী। ঘুমিয়ে গেছে শ্রান্ত হয়ে। ঐন্দ্রিলা চৌধুরী, ইমন–ভূপালী, ফুলের জলসায় নীরব কেন কবি। পুষ্পিতা দে,তালঃ আদ্দা,রাগঃ হিজাজ নরুজল সৃষ্ট, শিল্পী জয়া দত্তের পরিবেশন করেন, সাজের পাখিরা ফিরিলো কূলায় ও মনেপড়ে আজ সে কোন জনমে,রাগপ্রধান, শূন্য আজি গুল বাগিচা, অর্নিবাণ দত্ত, যাবার বেলায় ফেলে যেও, প্রিয়া বর্ধন, রাগঃ মাঢ মিশ্র,ওর নিশীথ সমাধি ঘুম ভাঙ্গিও না,নিলয় দত্ত, রাগ দরবারী, আজো মধুর বাসরী বাজে,ভক্তি বড়ুয়া, আলগা কর খোঁপার বাধন, অম্লান নন্দী, খেলা শেষ হল শেষ হয় নাই বেলা, ঋক ভট্টাচার্য, নয়ন ভরা জল,পৃথ্বীশ ভট্টাচার্য, মনে রাখার দিন গিয়েছে সপ্তসী শীল, আমারে ভুলেছো বলে, বিনয় দাশ। রাগ শিবরঞ্জনী। যন্ত্রাংশে ছিলেন, বেহালায়: কিবোর্ডে: নিখিলেশ বড়ুয়া ও ঋক ভট্টাচার্য, অক্টোপ্যাডেঃ অনুজিৎ বড়ুয়া লিমন ও সুমন দাশগুপ্ত, বাঁশীতে: প্রাণেশ ভট্টাচার্য, তবলায়: তিষাণ ঘোষও পরাগ বড়ুয়া। বেস গিটারে, তন্ময় বড়ুয়া।