জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজের শেষ ম্যাচে জিতে সিরিজ ড্র করেছে বাংলাদেশ। সিরিজ শেষে নাজমুল হোসেন শান্ত স্পষ্টই বলে দিয়েছেন, জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ১–১ ড্র করে তিনি খুব একটা খুশি নন। কারন প্রথম টেস্টের হারটা মানতে পারছেননা টাইগার অধিনায়ক। বাংলাদেশের পরের টেস্ট সিরিজে অপেক্ষা করছে আরও কঠিন চ্যালেঞ্জ। সেই সিরিজে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিনি দেখতে চান দলের আরো উন্নতি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে হেরেই সিরিজ থেকে বাংলাদেশের প্রাপ্তির আশা শেষ হয়ে যায়। পরের লড়াই ছিল স্রেফ মান বাঁচানোর। চট্টগ্রামে ইনিংস ব্যবধানে জিতে সেই সামান্য স্বস্তিটুকু পেয়েছে দল। যদিও অধিনায়ক শান্ত পরে বলেছেন, সিরিজে সামগ্রিক ফলাফলে তিনি অখুশি। আগামী মাসে বাংলাদেশ যাবে শ্রীলঙ্কা সফরে। সেখানে ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি সিরিজের সঙ্গে আছে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজও। এই সিরিজ দিয়ে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্র শুরু করবে দুই দলই। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে যে সিরিজগুলোয় বেশি আশা নিয়ে তাকিয়ে থাকবে বাংলাদেশ, সেটির মধ্যে নিশ্চিতভাবেই থাকবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লড়াই। সেখানে জিততে হলে কোন জায়গায় উন্নতি প্রয়োজন, জিম্বাবুয়ে সিরিজের পরই তা জানিয়ে রাখলেন অধিনায়ক।
শান্ত বলেন আমাদের সামনে শ্রীলঙ্কা সফর আছে । যেটি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি সিরিজ। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের খেলা। আমি চাইব টপ অর্ডারে যেন আরও বড় রান হয়, কেউ যেন ৪০ রান করে, ১০০ রান করেও আউট না হয়ে যায়। দুই টেস্টে যেন লম্বা ইনিংস আসে। লম্বা মানে অনেক লম্বা। যেটা সম্ভব, শ্রীলঙ্কায় ভালো উইকেট থাকে। কিংবা যে কন্ডিশনই থাকুক, টপ অর্ডার যেন ভালো করে। পাশাপাশি চাইব আমাদের পেস বোলাররা যেন ভালোভাবে চালিয়ে যেতে পারে। ব্যাট হাতে লোয়ার অর্ডারদের অবদানের গুরুত্বও তুলে ধরলেন শান্ত। চট্টগ্রাম টেস্টে কিছুটা অনিশ্চিত অবস্থান থেকে দলকে দাপুটে অবস্থানে নিয়ে যায় মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে লোয়ার অর্ডারদের কার্যকর ব্যাটিং। অষ্টম উইকেটে মিরাজের সঙ্গে তাইজুল ইসলামের জুটিতে আসে ৬৩ রান, নবম উইকেটে অভিষিক্ত তানজিম হাসানকে নিয়ে মিরাজ যোগ করেন আরও ৯৬ রান। শেষ তিন জুটি থেকে সব মিলিয়ে রান আসে ১৬৫। পাঁচ বোলার নিয়ে খেলার যে ছক ধরে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। সেখানে লোয়ার অর্ডারদের ব্যাটিং খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন শান্ত।
তিনি বলেন আগে আমরা টেস্টে ঘরের মাঠে চার বোলার নিয়ে খেলতাম। কিন্তু টেস্ট ম্যাচ জেতার জন্য জেনুইন পাঁচজন বোলার লাগবেই। যেটা আমরা এখন করছি। করার কারণ হলো, হাসান মাহমুদ, তাইজুল ইসলাম, তানজিম হাসান, নাহিদ রানা বা খালেদ আহমেদ, তাসকিন আহমেদ সবাই চেষ্টা করে ব্যাটিংটা কীভাবে উন্নত করা যায়। ১০টি রান করা বা ৫০ বল খেলা খুব জরুরি।