এশিয়া কাপের সুপার ফোর পর্বের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশের পরাজয়টাও মোটেও সম্মানজনক ছিল না। ১৯৩ রানে অলআউট হওয়ার কারণে এই পরাজয়ে কিছুটা হলেও লজ্জা যুক্ত হয়ে আছে। অথচ এই গাদ্দাফি স্টেডিয়ামেই আগের ম্যাচে ৩৩৪ রানের বিশাল স্কোর গড়েছিলো টাইগাররা। সেই মাঠেই পরের ম্যাচে মুখ থুবড়ে পেড়েছে টাইগার ব্যাটাররা। সাকিব এবং মুশফিকের দুটি হাফ সেঞ্চুরি ছাড়া আর কিছুই ছিলনা এই ম্যাচে বাংলাদেশের জন্য। সুপার ফোর পর্বটা হার দিয়েই শুরু হলো বাংলাদেশের। এই রাউন্ডে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর কলম্বোয়। পাকিস্তানের কাছে হারলেও ওই ম্যাচ দিয়েই ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিবের। বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন আমি যখন সেখানে এলপিএল খেলেছিলাম তখন দেখেছি পিচ কিছুটা ধীরগতির। আবার কিছুটা উঁচু–নিচু। সেটা হয়তো আমাদের সাহায্য করবে। আশা করি, আমরা কলম্বোয় ভালো করব।
পাল্লেকেলেতে এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মোকাবিলা করেছিলো টাইগাররা। ওই ম্যাচেও প্রথমে ব্যাট করে ১৬৪ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিলো সাকিব আল হাসান অ্যান্ড কোং। হেরেছিলো ৫ উইকেটে। সেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই কলম্বোয় ঘুরে দাঁড়ানোর আশা টাইগার অধিনায়কের। বাংলাদেশ–পাকিস্তান ম্যাচ দিয়েই শেষ হলো এশিয়া কাপের পাকিস্তান পর্ব। চারটি ম্যাচ হয়েছে সেখানে। বাকি সব ম্যাচ শ্রীলঙ্কার কলম্বোয় অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে পাকিস্তানের পরের ম্যাচটাই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর। বাংলাদেশের বিপক্ষে পাওয়া জয়ের আত্মবিশ্বাস সেই ম্যাচেও কাজে লাগবে বলে মনে করেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। তিনি বলেন এ ধরনের জয় আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেবে। আমরা সব সময়ই বড় ম্যাচের জন্য তৈরি। পরের ম্যাচে শতভাগ দিতে তৈরি আমরা।
বাবরের মতো ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে শতভাগ দিয়ে লড়তে চান ১৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচসেরা হারিস রউফও। তবে এর বাইরেও এশিয়া কাপে ব্যক্তিগত একটা লক্ষ্য আছে তাঁর। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে সেটা সরাসরিই বলে দিয়েছেন এই পেসার। তিনি বলেন, নিজের জন্য আমি একটা বড় লক্ষ্য ঠিক করেছি। আমি এশিয়া কাপের প্লেয়ার অব দ্য সিরিজ হতে চাই। তবে বাংলাদেশেল ক্রিকেটাররা নিজেদের জন্য কোন টার্গেট সেট না করলেও দলের জন্য একটি লক্ষ্য সেট করেছে। যেখানে রয়েছে পারের ম্যাচটি জেতা। কারণ টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে স্বাগতিকদের বিপক্ষে জয়ের কোন বিকল্প নেই। তাইতো ভারতের সামনে পড়ার আগে লংকানদের হারিয়ে আত্নবিশ্বাসটা ফিরে পেতে চায় বাংলাদেশ দল। পাকিস্তানের ম্যাচটি এখন অতীত। সামনে নতুন একটা ম্যাচ নুতন এক প্রতিপক্ষ। তাই ভাবনাটা এখন কেবলই শ্রীলংকাকে ঘিরে। আর সে ম্যাচটা জিতে আবার জয়ের ধারায় ফিরতে চায় বাংলাদেশ।