‘ফর্ম ক্ষণস্থায়ী, ক্লাস চিরস্থায়ী’ ডেভিড ওয়ার্নারের ফর্মহীনতা নিয়ে কদিন আগে বলেছিলেন কিংবদন্তি স্পিনার শেন ওয়ার্ন। পূর্বসূরির কথার প্রমাণ দিতে দেরি করলেন না অস্ট্রেলিয়ার তারকা ওপেনার। দুঃসময় পেছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়ালেন। দারুণ এক ইনিংসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দলকে এনে দিলেন জয়। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গতকাল বৃহস্পতিবার লঙ্কানদের বিপক্ষে ৭ উইকেটে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। টুর্নামেন্টের শুরুতে অনেকের চোখেই ফেভারিটের কাতারে ছিল না তারা। সেই দলই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে টানা দুই জয় নিয়ে সেমি-ফাইনালের পথে খানিকটা এগিয়ে গেল। খবর বিডিনিউজের।
ওয়ার্নার ব্যাট হাতে দলকে জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও ম্যাচ সেরার পুরস্কার অবশ্য জিতেছেন বোলার অ্যাডাম জ্যাম্পা। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে প্রতিপক্ষকে ১৫৫ রানে আটকে রাখতে তার অবদান অনস্বীকার্য। কিপটে বোলিংয়ে ৪ ওভারে কেবল ১২ দিয়ে ২ উইকেট নেন এই লেগ স্পিনার। রান তাড়ায় ওয়ার্নারের ৪২ বলে ৬৫ রানের ইনিংসে ১৮ বল আগেই জয়ের ঠিকানায় পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া। লম্বা সময় ধরে রানের খোঁজে থাকা বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান আভাস দিলেন ছন্দে ফেরার।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা শ্রীলঙ্কা তৃতীয় ওভারেই উইকেট হারায়। প্যাট কামিন্সকে আকাশে তুলে ৩০ গজের মধ্যে ওয়ার্নারের হাতে ধরা পড়েন পাথুম নিসানকা। এর প্রভাব অবশ্য দলের ওপর পড়তে দেননি চারিথ আসালাঙ্কা। মুখোমুখি হওয়া প্রথম দুই বলেই কামিন্সকে চার মারেন তিনি। আক্রমণে আসা গ্লেন ম্যাঙওয়েলকে তিন বলের মধ্যে হাঁকান একটি করে ছক্কা ও চার। বাংলাদেশের বিপক্ষে লঙ্কানদের জয়ের নায়ক আসালাঙ্কা ও কুসাল পেরেরার দৃঢ়তায় পাওয়ার প্লেতে ৫৩ রান তোলে দলটি। দারুণ ব্যাটিংয়ে রান বাড়াতে থাকেন দুইজন। ৩৫ বলেই তাদের জুটির রান স্পর্শ করে পঞ্চাশ। জ্যাম্পার মতো অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দুটি করে উইকেট নেন স্টার্ক ও কামিন্স।
লক্ষ্য তাড়ায় অস্ট্রেলিয়া পায় উড়ন্ত সূচনা। অ্যারন ফিঞ্চ ও ওয়ার্নারের ব্যাটে দ্রুত রান আসতে থাকে। দুই ওপেনার চড়াও হন লাহিরু কুমারার ওপর। এই পেসারের এক ওভারে একটি করে ছক্কা-চার মারেন ফিঞ্চ, ওয়ার্নার মারেন দুই চার। ওভার থেকে আসে ২০ রান। শেষ দিকে মার্কাস স্টয়নিসকে নিয়ে দলকে কাঙ্খিত ঠিকানায় পৌঁছে দেন স্মিথ। ২৬ বলে ২৮ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। আর স্টয়নিস মাঠ ছাড়েন এক ছক্কা ও ২ চারে ৭ বলে ১৬ রান করে।
