শ্রীলঙ্কার মার্কসবাদী প্রেসিডেন্ট অনুঢ়া কুমারা দিশানায়েকের ডাকে চলতি সপ্তাহে দেশটিতে আগাম পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জনগণের সমর্থনে পার্লামেন্টে নিজ দলের আসন সংখ্যা বাড়িয়ে ঋণ জর্জরিত দেশটির অর্থনৈতিক সংস্কারে গতি আনার লক্ষ্য নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। দিশানায়েকে সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হন। খবর বিডিনিউজের।
নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২৩ সেপ্টেম্বর ক্ষমতা গ্রহণের পরদিনই পার্লামেন্ট ভেঙে দেন তিনি। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেও ২২৫ আসনের পার্লামেন্টে দিশানায়েকের ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার (এনপিপি) জোটের আসন ছিল মাত্র তিনটি।
এই কারণেই নিজের নীতিগুলো বাস্তবায়নে নতুন করে জনসমর্থন চাইছেন তিনি, জানিয়েছে রয়টার্স। ১৪ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কায় ১৭তম পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে ২০২০ এর অগাস্টে কোভিড–১৯ মহামারীর মধ্যে দেশটির শেষ পার্লামেন্ট নির্বাচন হয়েছিল। দেশটির আইনপ্রণেতারা পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হন।
কয়েক দশক ধরে শ্রীলঙ্কার রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করে আসা পরিবারতান্ত্রিক পার্টিগুলোর বিবেচনায় দিশানায়েকে প্রায় একজন বহিরাগত ছিলেন। কিন্তু বিপর্যয়কর অর্থনৈতিক সংকট থেকে ধীরে ধীরে বের হয়ে আসতে থাকা দ্বীপ দেশটির ভবিষ্যৎ সংস্কারের রূপরেখা প্রণয়ণের দায়িত্ব মার্ঙবাদী এ রাজনীতিকের কাঁধে তুলে দেন তার দেশবাসী।
দিশানায়েকে যে নীতিমালার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তার মধ্যে আছে–কঠোর দুর্নীতিবিরোধী আইন প্রণয়, এ সংক্রান্ত উদ্যোগ বাস্তবায়ন, বড় ধরনের কল্যাণ প্রকল্প নেওয়া এবং করের বোঝা কমানো।
এসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে নতুন সরকারকে শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক মানচিত্র নতুন করে সাজাতে হবে, এমন কথা আগেই জোর দিয়ে বলেছিলেন তিনি।
রোববার এক নির্বাচনি প্রচারে দিশানায়েকে বলেছেন, আগের নির্বাচনগুলোতে জনগণের আমাদের উপর আস্থা ছিল না, কিন্তু সেপ্টেম্বরে জনগণ আমাদের বিজয়ী করেছে আর তাতে প্রমাণ হয়েছে আমরা একটি জয়ী দল এবং আমরা একটি সরকার গঠন করতে পারি।
পরবর্তী কাজ হবে দেশটির বিভিন্ন অংশ থেকে আসা দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি শক্তিশালী গণআন্দোলন গড়ে তোলা।
এবারের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে পার্লামেন্টের অধিকাংশ আসনে নতুন মুখের আগমণ ঘটবে বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের। বিশেষ করে শ্রীলঙ্কার রাজনীতিতে দীর্ঘ দিন ধরে যারা প্রতিনিধিত্ব করেছেন তাদের অনেকেই এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন না। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে।